মুর্শিদাবাদ: ভরতপুরের (Bharatpur) ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যের রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় দলের নির্দেশ ছাড়া সাংবাদিকদের সামনে যাতে জেলার নেতারা মুখ না খোলেন, এবার সেই বিষয়ে সতর্ক করে দিলেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলা সভানেত্রী। উল্লেখ্য, ভরতপুরের মালিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান-সহ ১৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য গণইস্তফা দিতে চেয়ে চলে গিয়েছিলেন বিডিও-র কাছে। আবাসের তালিকায় অনেক গরিব মানুষের নাম না আসায় অনুতাপের থেকেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তারপর আবার ১১ জন সদস্য বেঁকে বসেন। জানিয়ে দেন তাঁরা ইস্তফা দেবেন না। আবাস-সমস্যা নিয়ে দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের এমন কাণ্ডে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব।
আর এরই মধ্যে সোমবার বিকেলে তৃণমূলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব একটি বৈঠকে বসেছিল। বৈঠক শেষে সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাওনী সিংহ রায় সাফ জানিয়ে দিলেন, “সমস্ত বরিষ্ঠ নেতৃত্ব ও পদাধিকারীদের অনুরোধ করা হয়েছে, দলের নির্দেশ ছাড়া কেউ অযথা দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলবেন না।” সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, “দলগতভাবে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ব্লক সভাপতি, টাউন সভাপতি, বিধায়কদের বলা হয়েছে, কেউ ব্যক্তিগতভাবে দলের নির্দেশ ছাড়া অঞ্চল কমিটি, বুথ কমিটি, ওয়ার্ড কমিটির নাম কেউ ঘোষণা করবে না। রাজ্য যতক্ষণ না নির্দেশ দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ কিছু ঘোষণা করবেন না। যদি কেউ ঘোষণা করেন, সেটি অবৈধ হিসেবে গৃহীত হবে এবং ওই নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধী শিবির। মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতৃত্বের তরফে তির্যক আক্রমণ শানিয়ে বলা হয়েছে, “মালিহাটির ঘটনার পর গোটা রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। সেখানে ভাগ-বাটোয়ারার লড়াই। সেই কারণেই মুখ খুলছে। খুল খোলার জন্যই এসব হচ্ছে। ভাগবাটোয়ারা বন্ধ করার জন্য সেখানকার জেলা সভানেত্রীকে বৈঠক করতে হচ্ছে এবং মুখ খুলতে বারণ করা হচ্ছে।”