বড়ঞা: বৃদ্ধা মাকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে। এমনকী বৃদ্ধার গলায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানার কুলিতে। সেখানে খরজুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য গোলাপ শেখ। ওই তৃণমূল নেতার মা রাবিয়া বিবি কান্নায় ভেঙে পড়লেন পুলিশের কাছে গিয়ে। রবিবার সন্ধেয় একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে বড়ঞা থানায় গিয়ে হাজির হন তিনি। অভিযোগ করেন, গোলাপ শেখ তাঁকে মারধর করেছে এবং পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বড়ঞায়।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে রাবিয়া বিবি জানিয়েছেন, তিনি একটি হাতুড়ি তাঁর অপর ছেলেকে দিয়ে দিয়েছিলেন। আর সেই হাতুড়িকে কেন্দ্র করেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। বৃদ্ধার দাবি, এদিন বৃদ্ধ রাবিয়া বিবিকে তাঁর বড় ছেলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য গোলাপ শেখ প্রথমে গালিগালাজ করে এবং তারপর মারধরও করে। বৃদ্ধা মাকে লাথি মারারও অভিযোগ উঠেছে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। বৃদ্ধার অভিযোগ, এরপর পিস্তল ঠেকিয়ে ওই নেতা তাঁর মাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে এবং বাড়ি ঢুকলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে। এমন অবস্থায় কী করবেন বুঝতে না পেরে বৃদ্ধা দ্বারস্থ হন বড়ঞা থানার পুলিশের কাছে।
এই অভিযোগের বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিল টিভি নাইন বাংলা। তিনি অবশ্য জানাচ্ছেন, “মা ব্রেন স্ট্রোকের রোগী। আট বছর ধরে ব্রেন স্ট্রোকের জন্য ডাক্তার দেখাচ্ছে। কী হয়েছে আমি বলতে পারব না। কল নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলা চলছে। মা ভাইয়ের সঙ্গেই থাকে, ওখানেই খাওয়া-দাওয়া করে। ভাই-ই হয়ত পরামর্শ করে পাঠিয়ে দিয়েছে ওখানে অভিযোগ করতে… ব্রেন স্ট্রোকের রোগী তো।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে আক্রমণ করতে ছাড়ছে না বিরোধী শিবির। বড়ঞা ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্ব বলছে, গোলাপ শেখ নামে ওই তৃণমূল সদস্য একটা ক্রিমিনাল। সে লোককে দিবালোকে শাটার, পিস্তল, বোমা দিয়ে লোককে ভয় দেখায়। এই কাজ তিনি বরাবর করেন। তাঁর মাকে যদি তিনি শাটারের বাড়িতে মারতে পারেন, তাহলে আমজনতার কী হবে? পুলিশ প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার করা।”