Awas Yojona : ভরতপুরে ভোলবদল! ১৭ থেকে নেমে এল সোজা চারে, ১১ জন বললেন, ‘ইস্তফা দিচ্ছি না’

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Dec 26, 2022 | 5:12 AM

Murshidabad: তাঁদের বক্তব্য, আবাস যোজনার তালিকায় গরিব মানুষের নাম না আশায় তাঁরা অনুতপ্ত। তবে যাঁরা ঘর পাওয়ার তাঁরা ঠিক ঘর পাবেন।

Awas Yojona : ভরতপুরে ভোলবদল! ১৭ থেকে নেমে এল সোজা চারে, ১১ জন বললেন, ‘ইস্তফা দিচ্ছি না’
গ্রাম প্রধান প্রধান সৈয়দ নাসিরুদ্দিন (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: শনিবার হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যায় মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ভরতপুর দুই নম্বর ব্লকের মালিহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat) প্রধান সৈয়দ নাসিরুদ্দিনকে। প্রধান ও উপপ্রধান-সহ ১৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য সোজা বিডিও-র কাছে চলে যান গণ-ইস্তফা দেওয়ার জন্য। সেই সময় প্রধান জানান, “বহু অসহায় মানুষ এখনও পাকা ঘর পাননি। এরপর হয়ত আমাদের বাড়ি গিয়ে মানুষ বিক্ষোভ দেখাবে। তা থেকে বাঁচতেই আমরা আজ ইস্তফা দিতে চাইছি।” সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে নাটকীয় মোড়। রবিবার সকালে জানা যায় প্রধান ও উপ-প্রধান বাদে বাকি ১৫ জনের মধ্যে থেকে ১১ জন নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দিতে অস্বীকার করেছেন।

তাঁদের বক্তব্য, আবাস যোজনার তালিকায় গরিব মানুষের নাম না আশায় তাঁরা অনুতপ্ত। তবে যাঁরা ঘর পাওয়ার তাঁরা ঠিক ঘর পাবেন। যদিও এখনও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় পঞ্চায়েত প্রধান ও উপ-প্রধান। প্রধান সৈয়দ নাসিরুদ্দিন রবিবার বলেন, “আমি এখনও বলছি পঞ্চায়েতের প্রতিটি সদস্যের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার সিদ্ধান্তে অনড়। আমি যদি দেখি আমার অঞ্চলে দরিদ্র মানুষ ঘর পাননি তাহলে আমি সেখান থেকে সরে আসব।” এরপর তিনি বলেন, “আমরা সই করে বিডিও অফিসে দিয়ে এসেছি। বিডিও ছিলেন না। তবে ওনার কর্মচারীরা গ্রহণ করেছে।” অপরদিকে, বিডিও জানান যে শনিবার ছুটির দিন ছিল তাই গ্রহণ হয়নি। তারা যদি দিতে চান মঙ্গলবার আসতে হবে।

আর সেই সুযোগে দলের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে জেলা তৃণমূল। তৃণমূল সূত্রে দাবি সোমবার মালিহাটী গ্ৰাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান উপপ্রধানদের জেলায় ডেকে পাঠিয়েছেন জেলা নেত্রী শাওনী সিংহ রায়। এই বিষয় মুর্শিদাবাদের তৃণমূল চেয়ারম্যান আবু তাহের খান বলেন, “হয়ত তাঁদের অভিমান হতে পারে। হয়ত সরকারি কর্মচারিদের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। যাঁরা লিস্ট করেছেন তাঁধের কোনও বিষয় থাকতে পারেন। কী ঘটনা ঘটেছে, কী ঘটল সবটা জেনে পরবর্তীতে দলগতভাবে পদক্ষেপ করব।” অপরদিকে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু হয়েছে। তৃণমূল মুর্শিদাবাদ জেলাকে নিজেদের গড় বলে ভাবে। সেখানেই এটা শুরু হয়েছে। এবার জেলায় জেলায় এমনটা হবে। তৃণমূল দলটাই উঠে যাবে।”

উল্লেখ্য, আবাস যোজনার ঘরের সার্ভে করতে গিয়ে আশাকর্মীদের মার খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাঠগড়ায় তৃণমূল কর্মীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের প্রায় প্রতি জেলাতেই আবাস যোজনার ঘর দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের ঘর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। উঠেছে ঘরের বিনিময়ে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। যা নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এর মধ্যে এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদের পঞ্চায়েতে গণ ইস্তফা দেওয়ার ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

Next Article