মুর্শিদাবাদ: গোয়ালপোখরের এনকাউন্টারকে সমর্থন করলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর মতে, পুলিশ যেখানে গুলি খায় সেখানে, এই ঘটনা ঠিকই আছে। যদিও তিনি মনে করিয়ে দেন ভারতের সংবিধানে বলা আছে যে, বিচার ব্যবস্থায় গুলি করা উচিত নয়। তাঁর দাবি, যোগীর রাজ্যে অর্থাৎ উত্তর প্রদেশে যে ধরণের এনকাউন্টার হয়, তা সমর্থনযোগ্য নয়। তবে বিভিন্ন কেসের গুরুত্বের ভিত্তিতে এনকাউন্টার সমর্থন করা যায় বলে মনে করেন তিনি।
গত বুধবার প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল সাজ্জাদ। পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে চলছিল তল্লাশি। প্রশ্ন ওঠে, একজন বন্দি আসামির কাছে বন্দুক এল কোথা থেকে! এই প্রসঙ্গে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর দাবি করেন, জেলের মধ্যে বন্দুক আনা অসম্ভব। তিনি বলেন, আমিও একসময় জেলে ছিলাম। সেই সময় ত্রিস্তরীয় চেকিং হত। আমি একটা কেসে এক আইপিএসের সঙ্গে বিতর্কের জেরে ৮০ দিন জেল খেটেছি। তিনবার করে চেকিং হয় জেলে। তাই ভিতর থেকে বন্দুক আনা অসম্ভব ব্যাপার।
শনিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের সীমান্ত এলাকায় একটি মাঠের মধ্যে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সাজ্জাক আলমের। পুলিশ জানিয়েছে, এদিন আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। সাজ্জাক আলমকে আত্মসমর্পণ করা হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের।