মুর্শিদাবাদ : বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সলতে পাকানোর কাজ। তপ্ত হচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক ময়দান। তবে তারমধ্যে রাজ্যজুড়ে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে লাগাতার গোষ্ঠী সংঘর্ষের খবর। তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। দফায় দফায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল জঙ্গিপুর, জলঙ্গিতে। জলঙ্গিতে পঞ্চায়েত সদস্যকে দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলেরই আর এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে জঙ্গিপুরে বুথে ভোটার ট্রান্সফারকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। ঘটনার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।
সূত্রের খবর, এদিন জলঙ্গির সাগরপাড়া থানার কাজীপাড়া এলাকায় তৃণমূলের একটি সভা ছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক। জনসভায় এসেছিলেন পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার মানুষ। অভিযোগ সভা শেষ করে বাড়ি যাওয়ার পথে সাহেবনগর পঞ্চায়েতের সদস্য মজিবুর রহমানের উপর হামলা চালায় কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। পঞ্চায়েত সদস্য মুজিবুর রহমানের অভিযোগ, সভা শেষে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। ঠিক সেই সময় তাঁর আটকান ওই অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি মুরসালিম বাবু। তাঁর সঙ্গে থাকা কিছু লোক তখনই মজিবুরের উপর চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁর স্ত্রীকে। খবর যায় জলঙ্গি বিধানসভার বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাকের কাছে। ইতিমধ্যেই তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মজিবুর রহমানের স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামী মিটিং থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখন অঞ্চল সভাপতি রাস্তাতেই ওর পথ আটকায়। দাঁড় করিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। ব্যাপক মারধর করে। ছুরি দিয়েও হামলা করতে যায়। আমাদের বাড়ির কাছেই ঘটছিল এ ঘটনা। তখন আমি দৌড়ে গিয়ে ওদের থামানোর চেষ্টা করি। আমার উপরেও হামলা করা হয়। আমরা বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”