জঙ্গিপুর: শুক্রবার দফায় দফায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। জলঙ্গিতে পঞ্চায়েতের সদস্যর উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে জঙ্গিপুরে আবার তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই। আহত তৃণমূলের ক্ষেতমজুর সেলের ব্লক সভাপতি মইদুল ইসলাম। বর্তমানে জঙ্গিপুর মহুকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তৃণমূল নেতা।
সূত্রের খবর, দুই বুথে ভোটার ট্রান্সফরকে কেন্দ্র করে এদিন বিকেলে ঝামেলার সূত্রপাত রঘুনাথগঞ্জ থানার দফরপুর এলাকায়। অভিযোগ মইদুল ইসলামকে লাঠি বাঁশ দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নুরুল ইসলাম, নবাব সেখ, রবিউল হক মোস্তফ সেখ,বাবলু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এরা প্রত্যকেই এলাকায় তৃণমূল করেন বলে দাবি মইদুলের।
ঘটনা প্রসঙ্গে মইদুল ইসলাম বলেন, “দুটো বুথে ভোটার ট্রান্সফর নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। সেখানেই আমাকে মারা হয়। তবে ভোটার ট্রান্সফারের বিষয়ে বিডিও-র সঙ্গে কথা হয়। ইনকোয়েরিতেও আসে সরকারি লোকজন। এরপরই যাঁরা ভোট ভোট ট্রান্সফার করছিল তাঁদের হুমকি দিতে থাকে বাবলু সহ তাঁর লোকজন। আমরা এর প্রতিবাদ করি। জানাই এটা আমাদের গনতান্ত্রিক অধিকার। প্রতিবাদ করাতেই আমাকে মারধর করতে শুরু করে। রড, উইকেট, ইট দিয়ে মারে। ওরা সংখ্যা ১০-১২ জন ছিল। তারপরেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।”
অন্যদিকে বাবলু বিশ্বাস বলেন, “কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। ইচ্ছাকৃতভাবে অভিনয় করছে। অভিনয় করে বেডে শুয়ে আছে। ওর শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। ইচ্ছাকৃতভাবেই আমাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। আমি ওকে মারিনি। ও একটা সরকারি নির্দেশিকা না মেনেই এক বুথ থেকে আর একটা বুথে ভোটারদের নাম ট্রান্সফর করছিল। এটারই আমরা প্রতিবাদ করি। ২১৩ নম্বর বুথের ভোটের কী করে ২১২-তে যায়? তাঁর বাড়ি ২১৩-তে। এটাই করাচ্ছিল ও। আমরা এর প্রতিবাদ করিছিলাম মাত্র।”