মুর্শিদাবাদ: ফের মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। ডোমকলের পর এবার ঘটনাস্থল শক্তিপুর। পুলিশ সূত্রে খবর, বোমা বাঁধতে গিয়ে মোনাই শেখ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। শক্তিপুরের কাটাইকোণা। সেখানকার বাসিন্দা ছিলেন মোনাই। অভিযোগ, সোমবার শক্তিপুর থানা থেকে সামান্য কিছু দূরে বাড়ির পাশেই জঙ্গলে বোমা বাঁধছিলেন বেশ কয়েকজন যুবক। সেই বোমা বাঁধার সময়ই হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
এদিকে বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানানো হয়। শক্তিপুর থানার পুলিশ এসে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে। কী কারণে এলাকায় বোমা বাঁধা হচ্ছিল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কতদিন ধরে এলাকায় এই ধরনের কার্যকলাপ চলছে, তা জানতে এলাকাবাসীর সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। স্থানীয়রা এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে না পারলেও অনুমান, বোমা মজুত করার লক্ষ্যেই বোমা বাঁধা চলছিল।
চলতি মাসের ৫ তারিখ মুর্শিদাবাদের ডোমকল পুর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একই ঘটনা ঘটে। বঘারপুর রমনা এলাকায় বোমা বাঁধতে গিয়ে সিরাজুল শেখ নামে এক যুবক মারা যান। আহত হন তিনজন। গত ১৪ জুলাই ডোমকলের মেহেদিপাড়াতেও বোমাবাজি হয়। বোমা বিস্ফোরণে এক যুবকের হাত উড়ে যায়। অভিযোগ ওঠে, এলাকার মাঠেই বেশ কয়েকজন মিলে বোমা বাঁধার কাজ করছিলেন। সেই সময় রাস্তা ধরে ফিরছিলেন এক যুবক। বোমার বিস্ফোরণে হাত উড়ে যায় তাঁর। গত কয়েকদিনে মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় বোমা বাঁধার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে বোমাবাজিরও। আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে জেলায় এত বিস্ফোরক কোথা থেকে আসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে।