ডোমকল: এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা নতুন নয়। প্রায় প্রতিদিনই বোমার শব্দে কেঁপে ওঠেন এলাকার মানুষ। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বোমাবাজির ঘটনায় এবার যাঁকে গ্রেফতার করা হল, তিনি সক্রিয় তৃণমূল নেতা বলে জানা গিয়েছে। গত ১৪ জুলাই বোমাবাজির ঘটনা ঘটে ডোমকলের মেহেদিপাড়ায়। বোমা বিস্ফোরণে হাত উড়ে গিয়েছিল এক যুবকের। সোমবার সেই ঘটনায় মাসাদুল হক ওরফে টনি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। টনির নেতৃত্বেই এলাকায় বোমা বাধার কাজ চলছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, একসময় তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন মাসাদুল হক ওরফে টনি। এ দিন তাঁকে গ্রেফতার করার পর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়ে কোনও উত্তর দেননি টনি। তিনি শুধু বলেন, ‘আমি মর্মাহত।’ তাঁর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, টনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তাঁর ছেলেকে কোনও কারণ ছাড়াই ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি মাসাদুল হক ওরফে টনির মায়ের। তিনি জানান, তাঁর ছেলের কোনও দোষ নেই। ছেলে যে তৃণমূলের সদস্য, সে কথাও জানিয়েছেন মাসাদুলের মা।
গত সপ্তাহে শুক্রবার গভীর রাতেও বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। পরপর ২০-৩০ টি বোমা পড়ে এলাকায়। সেখানে এলাকার তৃণমূল নেতাদের নামই সামনে আসে। তৃণমূল কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীরাই এই বোমা নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেন এলাকার বাসিন্দারা। ওই ঘটনায় সামনে আসে সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানে বাইক বাহিনীর দাপট লক্ষ্য করা যায়।
বারবার মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত জেলার মানুষ। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, মালদহতেও একই ছবি। মালদহের মানিকচকের সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে। চার জনই তৃণমূল কর্মী বলেই এলাকায় পরিচিত। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট তিনজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরাও এলাকার তৃণমূল কর্মী।