মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদে ছাত্রী খুনের ঘটনায় ২ মাসের মধ্যে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ। শুক্রবার বহরমপুর আদালতে ৩৮৩ পাতার চার্জশিট জমা পড়ে। অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে খুন ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ধারায় মামলা রয়েছে। আগামী ২৫ জুলাই থেকে এই মামলার ট্রায়াল শুরু হবে। গত মে মাসে ঘটনাটি ঘটে। ২ মে বহরমপুর গোরাবাজার এলাকায় একটি মেসবাড়ির সামনে মালদহের বাসিন্দা কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় নাম জড়ায় তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। সেই ঘটনার চার্জশিট জমা পড়ল এদিন।
সরকারি আইনজীবী আরিফুজ্জামান বলেন, “গত ২ মে ২০২২ তারিখে সুতপা চৌধুরী নামে মেয়েটিকে খুন করা হয়েছিল। সুশান্ত চৌধুরী মূল অভিযুক্ত। মেসের সামনে তাঁকে খুন করা হয়। একটি এফআইআর হয়েছিল। এই কেসটা বহরমপুর থানায় দায়ের হয়। ৩০২ ধারা যুক্ত হয়। বহরমপুর থানার এসআই অনিমেষ মুখোপাধ্যায়কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল। তিনি ২ মাস ২০ দিনের মাথায় এই মামলার তদন্ত সম্পূর্ণ করেছেন এবং কোর্টে ৩৮৩ পাতার চার্জশিট দাখিল করেছেন। তাতে ৫৪ জন সাক্ষী আছে। খুনের ধারা ও আর্মস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। চার্জশিট দাখিল হল। এরপর সুশান্তকে সেশন কোর্টে পাঠানোর পর ট্রায়াল শুরু হবে। বহরমপুর পুলিশ খুবই তৎপরতা দেখিয়েছে এই তদন্তে।”
বহরমপুরের গোরাবাজার অত্যন্ত জনবহুল এলাকা। সেখানেই ভরসন্ধ্যায় মেসের সামনে সুতপা চৌধুরী নামে বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীকে খুন করা হয়। এলোপাথাড়িভাবে কোপানো হয় ওই ছাত্রীকে। উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কে বা কারা এই ঘটনায জড়িত তা নিয়ে প্রথমে ধন্দে ছিল পুলিশ। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সুশান্ত নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। পরে জানা যায়, সুতপার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সুশান্তর। পরে সে সম্পর্কে ছেদ পড়ে। তাতেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠেন ওই যুবক।