Murshidabad Suicide: তিন মাসের সম্পর্ক, ‘ঘনিষ্ঠতা’, পরে বিয়ে করতে প্রেমিক অস্বীকার করায় মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত কিশোরীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 14, 2022 | 5:03 PM

Murshidabad: মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার অন্তর্গত ঝিকরি গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম ফেন্সি খাতুন (১৫)।

Murshidabad Suicide: তিন মাসের সম্পর্ক, ঘনিষ্ঠতা, পরে বিয়ে করতে প্রেমিক অস্বীকার করায় মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত কিশোরীর
অঝোরে কেঁদে চলেছেন মেয়েটির মা (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

রেজিনগর (মুর্শিদাবাদ): তিন মাস প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ঘনিষ্ঠতা। কিন্তু বিয়ে করতে অস্বীকার প্রেমিকের। আর তারপরই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটনাল মেয়েটি। সম্পর্কের অবনতির জেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক কিশোরী।

মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার অন্তর্গত ঝিকরি গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম ফেন্সি খাতুন (১৫)। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে বাবার কাছে বকা খায় ফেন্সি। তারপর দরজা বন্ধ করে ঘরে ঢুকে পড়ে সে। সেখানেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় মেয়েটি।

মিনিট পনেরো পর তাকে ডাকাডাকি করেও সাড়া না মেলায় সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। তড়িঘড়ি মেয়েটিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাত্রি দশটা নাগাদ মৃত্যু হয় তার।

এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আজ ফেন্সির ময়নাতদন্ত করা হয়। পরিবার সূত্রে খবর, বছর খানেক ধরে নও দার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ফেন্সি। মাস তিনেক আগে ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারে। এরপর এই বিষয়ে মিমাংসা হয়। পরে যদিও ছেলেটি বিয়ে করতে অস্বীকার করে।

এ ছাড়াও পরিবারের আরও অভিযোগ, একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যেও ছিলেন তাঁরা। বিয়ে করতে রাজি না হওয়াই আত্মঘাতী হয়েছে তাঁদের মেয়ে। পরিবারের লোকজন জানায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। মেয়েটির মা বলেন, ‘ওদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। এরপর ছেলেটির বাড়ি থেকে জেনে যায়। তারপর ওদের বাড়ির লোক আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য। এরপর আবারও একদিন ওদের বাড়ির লোক আসে ওকে বাড়িতে ডাকে। আমার মেয়ে যায়। এর মধ্যে মাঝে-মধ্যেই মেয়ে বলত মরে যাব মরে যাব। গতকাল ওর বাবা বকাবকি করে। তারপর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। আমরা কিছুক্ষণ পর ঘরের দরজা খুলে দেখি ওড়না সমেত গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে।’

Next Article