মুর্শিদাবাদ: সন্দেহ। শুধুমাত্র সন্দেহের জন্য আরও একবার নীতি-পুলিশির সাক্ষী থাকল গোটা গ্রাম। দুই মহিলাকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে গণধোলাই দিলেন গ্রামবাসী। আর সেই ঘটনা দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে চাক্ষুস করলেন সকলে। বাঁচানো তো দূর! সামান্য প্রতিবাদটুকু করতে দেখা গেল না কাউকে। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে রেহাই পেলেন দুই মহিলা।
মুর্শিদাবাদের বংশবাটী গ্রামের ঘটনা। সেখানেই পরকীয়ার জেরে দুই গৃহবধূকে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে গোণধোলাইয়ের দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার ভাইরালও হয়েছে। (যদিও, ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা)। ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামের দুই মহিলা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। অন্তত, তেমনটাই দাবি তাঁদের। এরপরই তাঁরা মহিলাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। তারপর দু’জনকে ল্যাম্প পোস্টের সঙ্গে বেঁধে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে সুতি থানার পুলিশ গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
বস্তুত, মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় স্ত্রী-র বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আত্মঘাতী হন এক যুবক। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে এলাকারই বাসিন্দা দিলরুবার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্য অশান্তি হত। আসলে দিলরুবার সঙ্গে একাধিক পুরুষের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ। সেলিম বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেই ঘরে ঢুকতেন অন্য পুরুষ। বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন সেলিম। একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে স্ত্রীকে বুঝিয়েছিলেন সেলিম। অভিযোগ, দিলরুবা অত্যন্ত উৎশৃঙ্খল জীবনযাপন করতেন। সেটা মেনে নিতে পারছিলেন না সেলিম। তারপরই এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত।