মুর্শিদাবাদ: ভোটের শুরু থেকেই এবার নজরে ছিল মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র। এই কেন্দ্র থেকে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছিলেন খোদ দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বামেদের প্রত্যাশা ছিল এই আসন ঘিরে। বাম-কংগ্রেস যৌথভাবে প্রচার চালিয়েছিল এই কেন্দ্রে। কিন্তু মঙ্গলবার ফল প্রকাশের পর বামেদের সেই আশাও শেষ হয়ে যায়। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকে ১ লক্ষের বেশি ভোটের ফারাকে জয়ী হয়ে আবারও সাংসদ হচ্ছেন আবু তাহের খান।
কত ভোট পেলেন আবু তাহের খান?
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আবু তাহের খানের প্রাপ্ত ভোট ৬,৮২,৪৪২। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের থেকে ১,৬৪,২১৫টি ভোট বেশি পেয়েছেন তিনি।
কীভাবে উত্থান আবু তাহেরের?
তৃণমূল রাজ্য়ে ক্ষমতায় আসার অনেক আগে থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে সক্রিয় আবু তাহের। একটানা ১৮ বছর নওদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ২০০১ সালে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছিলেন আবু তাহের। তারপর আর কখনও হারতে হয়নি তাঁকে।
২০০১, ২০০৬, ২০১১, ২০১৬- পরপর চারবার বিধানসভা ভোটে জয়ী হন তিনি। পরে ২০১৯ সালে তাঁকে লোকসভা ভোটের টিকিট দেওয়া হলে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন তিনি। ২০১৯ সালে ২ লক্ষের বেশি ভোটের মার্জিনে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন আবু তাহের খান। এবার ভোটের মার্জিন কমলেও জয়ের ধারা বজায় রেখেছেন তিনি।
অসুস্থ হলেও প্রচারে খামতি রাখেননি আবু তাহের
ভোটের আগে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আবু তাহের। গত বছর প্রায় সাত মাস ধরে স্নায়ু ও ফুসফুস সংক্রমণের সমস্যা নিয়ে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরে সুস্থ হয়ে আবার ফেরেন সক্রিয় রাজনীতিতে। প্রচারে কোনও খামতি রাখেননি তিনি।
৬২ বছরের এই তৃণমূল নেতা মুর্শিদাবাদের নওদারই বাসিন্দা, ফলে এলাকার নাড়ি-নক্ষত্র তাঁর চেনা। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতির পাশাপাশি তিনি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত।