বহরমপুর: পরপর পাঁচবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন অধীর চৌধুরী। অর্থাৎ একটানা ২৫ বছর ধরে কখনও দিল্লি, কখনও বহরমপুরে কাটান তিনি। নিয়মিত সাংবাদিক বৈঠক করেন। রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর থেকে প্রতিক্রিয়া দেন সাবলীলভাবে। মঙ্গলবারের ফলাফলে কি অধীরের সেই অভ্যাসের তাল কাটল? ২৫ বছরের রুটিন থেকে অব্যাহতি পাচ্ছেন তিনি? সেই উত্তর সময়ই দেবে। তবে রাজনীতিতে কি থাকছেন অধীর?
ভোটের আগে এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভোটে হেরে গেলে তিনি কী করবেন? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘রাজনীতি ছেড়ে দেব।’ মঙ্গলবার গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়, তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে ভোটবাক্সে কতটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে তাঁর। বিকেলের পর স্পষ্ট হয়ে গেল ফলাফল। শেষ হাসি হাসলেন ইউসুফই।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কোনও অজুহাত না দিয়েই হার মেনে নেন তিনি। বলেন, ‘হেরে যাওয়া মানে হেরে যাওয়া। আমার কোনও অভিযোগ নেই।’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনি কি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন?’ উত্তরে অধীর বলেন, ‘যা করব জানিয়ে দেব।’ অর্থাৎ রাজনীতি ছাড়বেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
গত ২৫ বছর ধরে সংসদে নানা তর্ক-বিতর্কে অংশ নিয়েছেন অধীর। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সরাসরি তর্ক করতেও দেখা গিয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক, দিল্লির রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্বও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রাজ্যের কংগ্রেসের সভাপতিও তিনি। সেই ভূমিকাতেই কি এবার দেখা যাবে তাঁকে?