Murshidabad: আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে চান নদিয়ার মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Dec 19, 2022 | 10:04 PM

TMC Leader Murder Case: মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রীর দাবি, ওই ঘটনায় তিনি যে দশজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তারা প্রত্যেকেই জড়িত। এমন অবস্থায় আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে চান মৃতের স্ত্রী রিনা বিশ্বাস।

Murshidabad: আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে চান নদিয়ার মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী
মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রী রিনা বিশ্বাস

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: ২৪ নভেম্বর সন্ধেয় নওদার শিবনগর এলাকায় নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম বিশ্বাসকে খুনের (TMC Leader Murder)  অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার মৃতের স্ত্রী রিনা বিশ্বাস ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। যে দশজনের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, রবিবার তাদের মধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও সাতজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ, যাদের নামে মৃতের স্ত্রী অভিযোগ আনেননি। ঘটনায় সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ন’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের অভিযোগের তদন্তে নেমে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু মৃত তৃণমূল নেতার স্ত্রীর দাবি, ওই ঘটনায় তিনি যে দশজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, তারা প্রত্যেকেই জড়িত। এমন অবস্থায় আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে চান মৃতের স্ত্রী রিনা বিশ্বাস।

সোমবার মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় সিআই সদরের অফিসে দেখা করেন আসেন মতিরুলের স্ত্রী রিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। গোপন জবানবন্দি দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। রিনা বলেন, “দশজনের নাম দেওয়া হয়েছে, দুইজনকে ধরেছে। কিন্তু আমার দাবি, এই ঘটনায় দুইজন নয়, দশজনই জড়িত। আমি চাই দশজনকেই যাতে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হোক।” এদিন সিআই সদর অফিসে দেখা করতে রিনা বিশ্বাসের সঙ্গে এসেছিলেন সেখানকার তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও। তাঁরা জানান, যে দশজনের নামে রিনা বিশ্বাস অভিযোগ তুলেছেন, সেটি এফআইআর-এর সঙ্গে যুক্ত করা হোক। আইনের প্রতি ভরসা রয়েছে। রিনা বিশ্বাস আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে চান।

উল্লেখ্য, মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকেরা অভিযোগ তুলেছেন, গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। পরিবারের তরফে যে দশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, সেই তালিকায় রয়েছেন নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শফিউজ্জামান শেখ ও নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহাও। তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় সিআইডি তদন্তের দাবিও জানিয়েছে পরিবার।

প্রসঙ্গত, মতিরুলের ছেলে নওদার এক বেসরকারি স্কুলে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। ছেলের সঙ্গে দেখা করতে নওদায় গিয়েছিলেন মতিরুল। অভিযোগ, সেখানেই তার উপর হামলা চালানো হয়। প্রথমে বোমা, তারপর গুলি এবং শেষে মৃত্যু নিশ্চিত করতে হাতের শিরায় ব্লেড চালানো হয় বলে অভিযোগ।

Next Article