মুর্শিদাবাদ: আপাতত দিল্লি যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। একবছর আগে তৃণমূল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় কেষ্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে তাঁকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে কেষ্ট-মণ্ডলের দিল্লি না যাওয়ার বিষয়টি ভালভাবে দেখেনি বিরোধীরা। সেখানেও দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে গিয়ে বাম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, “পুলিশ অপরাধীদের আড়াল করছে।”
এ দিন, সিপিএম জেলা কার্যালয়ে পৌঁছে সেলিম বলেন, “অনুব্রতকে বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা নীচে নামতে পারে দেখা গেল। একবছর আগে গলা টেপার ব্যাপার ছিল যদি ধরেই নেওয়া যায়, তখন তো গুড়-বাতাসা খাওয়ানো, পুলিশকে বোমা মারবে, খুন, জখম, অনেক বিষয় ছিল। তখন পুলিশ কেন সক্রিয় ছিল না। আর যেই মুহুর্তে ঠিক হল দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা হবে, তখন পুলিশ এগিয়ে এল ওনাকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য। আর এর জবাব পুলিশ মন্ত্রীকে দিতে হবে।” এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে প্রবীণ সিপিএম নেতা বলেন, “উনি বলেছিলেন না বীরের মর্যাদা দিয়ে অনুব্রতকে বের করে আনবেন? আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাধীদের বেঁধে রেখেছেন।”
অনুব্রত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সেলিম আরও বলেন, “এখন পুলিশ-পুলিশ খেলা হচ্ছে। তা সিবিআই হোক, সিআইডি হোক বা রাজ্য পুলিশ হোক বা দিল্লি পুলিশ হোক। কয়েকদিন ধরেই সংবাদ মাধ্যমে দেখছি সিবিআই-এর কেসে সিআইডি ঢুকছে আর সিআইডি-র কেসে সিবিআই ঢুকছে। কোথায় মুখ্যমন্ত্রী অপরাধীদের শাস্তি দেবেন, তা না করে বাঁচাচ্ছেন। তাই আইপিএস অফিসারদের এটা বুঝতে হবে তাঁরা কতদিন এমন প্রভুভক্ত দাস হিসাবে কাজ করবেন?”
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাওয়া নিয়ে টালবাহানা চলছিল। তবে সোমবারই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে পারবে ইডি। কিন্তু কেষ্টর দিল্লির যাত্রার মোড় ঘোরে আজ। এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক বছর আগের ঘটনায় সোমবার দুবরাজপুরের ওই তৃণমূল কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে এই গ্রেফতারি। মঙ্গলবার অনুব্রতকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। এরপরই তাঁকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।