বহরমপুর: উপনির্বাচনে সাগরদিঘিতে বাইরন বিশ্বাসের জয়ের পর নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছিল কংগ্রেস (Congress)। যদিও সেই খুশির রেশ মিলিয়ে গিয়েছে বাইরনের দলবদলের পরেই। সাগরদিঘির নবনির্বাচিত বিধায়ক এখন তৃণমূলে (Trinamool Congress)। এদিকে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) এগিয়ে আসতেই রাজ্য়ের নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার আসতে থাকে দলবদলের খবর। কখনও বিরোধী থেকে শাসক শিবিরে, আবার কখনও শাসক থেকে বিরোধী দলে ভিড়তে থাকেন বহু কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাওয়া নিয়েও দলীয় কর্মীদের মধ্যে বাড়তে থাকে অসন্তোষ। এরইমধ্যে বিগত কয়েক সপ্তাহে তৃণমূল ছেড়ে শয়ে শয়ে কর্মীকে কংগ্রেসে যোগদান করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, তাঁরা কী সকলে ভোটের টিকিট পেলেন? সূত্রের খবর, নবাগতদের মধ্যে ৩০ শতাংশই পঞ্চায়েত স্তরে ভোটের টিকিট পেয়েছেন।
জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলছেন, “গোটা বাংলার মধ্যে ব্যতিক্রমী জেলা মুর্শিদাবাদ। যেখানে মনোনয়ন প্রক্রিয়ার মধ্যেও তৃণমূল থেকে লোকজন আমাদের দলে যোগদান করছে। আমারা তো জেলা কংগ্রেস ভবনের সামনে একটা স্থায়ী যোগদান মঞ্চই বানিয়ে রেখেছি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বিভিন্ন ব্লকে যাচ্ছেন। সেখানে যোগদান পর্ব চলছে। তৃণমূল থেকে স্রোতের মতো কর্মীরা বেরিয়ে আসছেন। তার পিছনে একটাই কারণ। চোর অপবাদ নিয়ে কেউ তৃণমূলে থাকতে চাইছেন না। যাঁরা আমাদের দলে যোগদান করেছেন তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন ব্লকে অনেকেই টিকিট পেয়েছেন। আবার অনেক পুরনো কংগ্রেস কর্মী আবার টিকিট পাননি। আসলে সবটা দেখেশুনেই দিয়েই প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। টিকিট তো একটাই। তা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও বিক্ষোভ নেই।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বহরমপুর জাতীয় কংগ্রেসের পার্টি অফিসে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন প্রায় পাঁচশো কর্মী। তার কিছুদিন আগে কান্দি ব্লকের অন্তর্গত আমিত্যা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ১২ জন সদস্য ও ২ জন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য-সহ ৫০০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা অধীর চৌধুরীর হাত ধরে জাতীয় কংগ্রেসের যোগদান করেন। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, প্রতিবেশী মালদা সহ একাধিক জেলাতেও বিগত কয়েকদিনে দেখা গিয়েছে একই ছবি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জুন।