নবদ্বীপ: ৫ ঘণ্টার মধ্যেই নবদ্বীপে প্রৌঢ়া খুনের কিনারা করল নবদ্বীপ থানার পুলিশ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে রাজি না হওয়াতেই রোষের শিকার হতে হয়েছে ওই প্রৌঢ়াকে। পুলিশ এই ঘটনা মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে। ধৃতের নাম নবকুমার কুণ্ডু। তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয় রানুর স্বামীর। তারপর থেকেই তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য রানুকে চাপ দিচ্ছিল ওই ব্যক্তি। রানু তাতে রাজি হতে চাননি বলে দাবি পরিবারের। আর তার জেরেই খুন। ধৃতকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় রানু বৈরাগ্য নামে এক মহিলার। রানু নবদ্বীপ পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এলানে শিব তলার ফুলবাগান এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রত্যেকদিনই প্রাতঃভ্রমণে বের হন। বুধবার সকালে হেঁটে নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, তখনই এক দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আকস্মিক এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারাই রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, রানু পরিচারিকার কাজ করতেন। বছর দুয়েক আগে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
এই ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ফের প্রশ্নের মুখে। বিরোধীরাও এই নিয়ে সরব। বিজেপি বিধায়ক জগন্নাথ সরকার বলেন, “এক মাসের মধ্যে দেখলে দেখা যাবে, দিনে ১০ টা করে খুন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী ক্রিমিন্যালদের দলে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাদেরকে ব্যবহার করতে গিয়েছিলেন। এটা তারই ফল। ধর্ষক উৎসাহিত হচ্ছে, তার কোনও শাস্তি হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন। এটা ঠিক নয়। নাবালিকা ধর্ষণ সম্পর্কে যা বলছেন, সেটা কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারেন? তিনি তো পুলিশমন্ত্রীও।”
স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রথম রঞ্জন বলেন, “কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। দোষীরা শাস্তি পাক, এটাই চাইব। মুখ্যমন্ত্রী তো বলে দিয়েছেন, বেআইনি অস্ত্র সব খুঁজে বার করতে হবে। অভিযান তো চলছে।”
আরও পড়ুন: তাঁর হোটেলেই তৈরি হয়েছিল খুনের ‘ব্লু প্রিন্ট’? ঝালদার কাউন্সিলর খুনে সিবিআই-এর প্রথম গ্রেফতারি