CBI On Jhalda Councillor Death: তাঁর হোটেলেই তৈরি হয়েছিল খুনের ‘ব্লু প্রিন্ট’? ঝালদার কাউন্সিলর খুনে সিবিআই-এর প্রথম গ্রেফতারি
CBI On Jhalda Councillor Death: সত্যবাণকে নিজেদের হেফাজতে পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সত্যবাণের ভাইপো জানিয়েছেন, নরেন কান্দু নিয়মিত তাঁর কাকার হোটেলে যেতেন।
পুরুলিয়া: ঝালদার কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে সিবিআই-এর প্রথম গ্রেফতারি। ধৃতের নাম সত্যবাণ প্রামাণিক। জানা যাচ্ছে, সত্যবাণের একটি হোটেল রয়েছে। ঘটনার আগে তাঁর হোটেলে বসেই খুনের ‘ব্লু প্রিন্ট’ তৈরি হয়েছিল। তেমনই তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে। সত্যবাণ হলেন ধৃত নরেন কান্দুর ঘনিষ্ঠ। নরেন কান্দু হলেন নিহত তপন কান্দুর দাদা। এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের তালিকায় তাঁর নাম। মঙ্গলবারই সত্যবাণকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই তদন্তকারীরা। তার একাধিক কথায় অসঙ্গতি ছিল, তারপরই গ্রেফতার। সত্যবাণকে নিজেদের হেফাজতে পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সত্যবাণের ভাইপো জানিয়েছেন, নরেন কান্দু নিয়মিত তাঁর কাকার হোটেলে যেতেন। নিয়মিত হোটেলের বাইরে তাঁদের আড্ডা বসত। যেদিন তপন কান্দু খুন হয়েছিলেন, সেদিন থেকেই নরেনকে আর ওই হোটেলের আশেপাশেই দেখতে পাওয়া যায়নি। সেদিন থেকেই সত্যবাণের হোটেলে যাতায়াত পুরোপুরি বন্ধ করে দেন নরেন।
এই ঘটনায় আরও একটি উল্লেখযোগ্য আপডেট এসেছে সিবিআই-এর হাতে। এই ঘটনায় ধৃত আশিক খানের মেয়ের ঝাড়খণ্ডের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে ৫২ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। সিবিআই গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই খুনের সুপারি বাবদ যে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল, তারই ভাগ পেয়েছিল আশিক খান। আরও টাকা পেয়েছিল বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন। তার খোঁজ চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। তবে যে অস্ত্র দিয়ে তপন কান্দুকে খুন করা হয়েছিল, তা এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। সেই অস্ত্রের খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। এটিই এই তদন্তের অন্যতম হাতিয়ার।
এদিকে, তপন খুনের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে তৎপর সিবিআই।বুধবার জেলা পুলিশের থেকে এফআইআর কপি সংগ্রহ করবে সিবিআই। বুধবারই নিরঞ্জন বৈষ্ণবের রহস্যমৃত্যুর তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিয়েছে হাইকোর্ট। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর থেকেই তথ্য সংগ্রহের কাজে লেগে পড়েছে সিবিআই। বুধবার সকালে কলকাতায় স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিস থেকে একটি দল রওনা দেয় ঝালদার উদ্দেশে। রাঁচি থেকেও আরও একটি দল আসবে ঝালদায়। সূত্র মারফত তেমনটাই খবর পাওয়া যাচ্ছে। আজ মূলত রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে এই ঘটনার এফআইআর কপি নেবেন তদন্তকারীরা। ভাইয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে পুলিশি চাপের অভিযোগ তুলে থানায় সপ্তাহ খানেক আগেই ঝালদা থানায় এফআইআর করেছিলেন তাঁর দাদা। পুলিশ হেনস্থা, তার জেরে মানসিক চাপের যে অভিযোগ তুলছে নিরঞ্জন বৈষ্ণবের পরিবার, তা খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: রক্তমাখা কাপড়ের টুকরো, চাদরে বীর্যের নমুনা! হাঁসখালিকাণ্ডে এবার পুলিশের হাতে বিস্ফোরক ‘ক্লু’
আরও পড়ুন: তপন কান্দু খুনে পুলিশ কি কোনওভাবে নিরঞ্জন বৈষ্ণবকেই ফাঁসানোর ছক কষছিল? এটাই মূল ফোকাস সিবিআই-এর