নদিয়া: শিক্ষা প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হল তিন জন। জাল কাগজপত্র-সহ তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন কলেজ আধিকারিকরা। কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশের। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার বিভিন্ন কলেজের আইডেন্টি কার্ড ও একটি কাগজে লেখা একাধিক অ্যাকাউন্ট নম্বর। নদিয়ার তেহট্ট বি আর আম্বেদকর কলেজের ঘটনা।ঐক্যশ্রী (WB/SVMCM) মাইনোরিটি স্কলারশিপের ভুয়ো ফ্রম জমা করতে এসে হাতেনাতে ধরে ফেলেন কলেজের আধিকারিকরা। এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করে ভুয়ো পড়ুয়াদের নামে টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে অভিযোগ। এক এক জন পড়ুয়া এই প্রকল্পে প্রায় ১৮ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান পায়। আর সেই সরকারি অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে এই চক্র সক্রিয়। এরপর ওই তিন জনকে আটক করে তেহট্ট থানার পুলিশ হাতে তুলে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। ধৃতদের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। এ পর্যন্ত ৯৯ টি ফ্রম জমা করেছিলেন তাঁরা। ধৃতদের কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে বেশ কিছু ভুয়ো নথি সিল স্টাম্প ও সরকারি আধিকারিকদের নকল সই করা কাগজপত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানা যায়।
ওই দিন অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তেহট্ট থানার পুলিশ। এই চক্র সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত রয়েছেন তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। বর্তমানে রাজ্যের অধিকাংশ কলেজেই এই জাল চক্র সক্রিয় বলে অনুমান কলেজ কর্তৃপক্ষের। অভিযুক্তের এক জনের বক্তব্য, “আমি কাগজপত্র জমা দিতে এসেছি। আমি এই কলেজেরই ছাত্র।” কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছিলাম, যে ফর্মগুলো জমা পড়ছিল, সেগুলো সাপোর্টিং নথিগুলি পুরোপুরি ম্যানিপুলেটেড। জয়েন্ট বিডিও-র সই, প্রিন্সিপ্যালের সই ম্যানিপুলেটেড। যাচাই করে দেখা গিয়েছে, নথিগুলিকে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নাম ঠিক রেখে বাকি চেঞ্জ করেছে। ওদের প্রত্যেকের বাড়ি হরিহরপাড়া এলাকায়। এরকম প্রায় একশোটা ফর্ম উদ্ধার হয়েছে। অন্য কলেজের ফর্মও ওদের ব্যাগ থেকে বেরিয়েছে। এখানে একটা চক্র সক্রিয়।”