নদিয়া: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় চাকরি গিয়েছে অনেকেরই। শুক্রবার ১৯১১ জন শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই ভুয়ো শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরও নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছেন নদিয়ার শান্তিপুরের এক স্কুলের কর্মী। শান্তিপুর তন্তুবাই সঙ্ঘ উচ্চ বিদ্যালয়ের ডি গ্রুপের কর্মী আনসার শেখের নাম উঠেছে ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায়। এর আগেও আনসার সেখের নাম সামনে এসেছিল। তা সত্ত্বেও নিয়মিত স্কুলে যেতেন তিনি। শুক্রবারও প্রতিদিনের মতোই স্কুলে গিয়েছিলেন আনসার সেখ। স্কুলের রেজিস্ট্রি খাতায় সইও করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে তাঁদের কাছে কোনও তালিকা এসে পৌঁছয়নি। তাই কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছেন না তাঁরা।
শুক্রবার খাতায় সই থাকলেও স্কুলে অপেক্ষা করেও আনসার শেখের দেখা পাওয়া যায়নি। তবে তিনি যে প্রতিদিন স্কুলে আসেন, খাতায় সই করেন, সে কথা জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকেরা। প্রধান শিক্ষক এদিন বলেন, ‘বোর্ড আমাদের যখনই জানাবে তখনই আমরা পদক্ষেপ করব।’
তবে ওই বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক এবং শিক্ষিকারা আদালতের রায়ের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের কাছে এটি লজ্জার বিষয়। এই ধরনের একজন ভুয়ো শিক্ষক তাঁদের বিদ্যালয়ে রয়েছে, এতে স্কুলের মান নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁকা। যেখানে আদালত রায় দিয়ে দিয়েছে, তারররও কীভাবে আনসার শেখ স্কুলে আসেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।