Bangladesh to India: সাধু সেজে এত বড় চক্রান্ত? STF পেল বাংলাদেশ-যোগ, হইচই পড়ল তেহট্টে
Bangladesh Most Wanted Criminal: সেখানেই ভুয়ো পরিচয় পাতিয়ে সাধুর বেশেই দিন কাটাচ্ছিল হাশেম। এই কেটে যায় অনেকদিন। বাংলাদেশের পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে গ্রামবাংলার তেহট্টই হয়ে ওঠে হাশেমের 'সেফ-হোম'। কিন্তু বেশিদিন নয়।

নদিয়া: তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ…। অপারের দাগী আসামী। এপারে এসে হয়ে গেলেন সাধু-সন্ন্য়াসী। এও সম্ভব? তবে বেশিদিন তা চলল না। রবিবার সকালে ওই ‘সাধু’কে গ্রেফতার করেছে রাজ্য স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ-এর টিম।
ধৃতের নাম হাশেম আলি মল্লিক। সে বাংলাদেশের বাসিন্দা। আর ওই পারে তার কীর্তি অভাব নেই। বাংলাদেশের হাশেমের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একাধিক অভিযোগ। বলা চলে সেখানে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অপরাধীদের তালিকায় এই হাশেমও রয়েছে। তাই যেখানে তার এত কীর্তি, সেখানে থাকা কি নিরাপদ?
মোটেই নয়। তবে ‘সেফ-হোম’টা কোথায়? এই বাংলা না হোক ওই বাংলা। এমনটাই ভেবে ছক কষেছিল হাশেম। তারপর সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসে নদিয়ার তেহট্টে। সেখানেই ভুয়ো পরিচয় পাতিয়ে সাধুর বেশেই দিন কাটাচ্ছিল হাশেম। এই কেটে যায় অনেকদিন। বাংলাদেশের পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে গ্রামবাংলার তেহট্টই হয়ে ওঠে হাশেমের ‘সেফ-হোম’। কিন্তু বেশিদিন নয়।
সম্প্রতি গোপন সূত্রে হাশেমের কথা জানতে পারে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। এরপর তেহট্ট থানার পুলিশের সঙ্গে ওই থানার অন্তর্গত বালিউরা পূর্ব পাড়ায় চলে অভিযান। তারপর নথিপত্র যাচাইয়ের পর তাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। রবিবারই তাকে তোলা হবে তেহট্ট মহকুমা আদালতে।
উল্লেখ্য, মাসকতক আগে বিহারের পটনায় একটি খুনের ঘটনাতেও দেখা গিয়েছিল একই রকম কাণ্ড। পটনা হাসপাতালে প্যারোলে থাকা গ্যাংস্টারকে হত্যা করার পর দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নিয়ে এই বাংলাতেই। প্রশ্ন উঠেছিল অপরাধীদের কি তবে ‘সেফ-হোম’ হয়ে উঠছে রাজ্য? অবশ্য দিন কয়েকের মধ্যে সেই অপরাধীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

