Nabadwip: রাতের অন্ধকারে সমাধি থেকে কারা তুলে ফেলছে দেহ? কী চলছে নবদ্বীপ মহাশ্মশানে?
Nabadwip: শ্মশানের শিফট ইনচার্জ মানব সাহা বলছেন, “রাত ২টো নাগাদ আমঘাটা থেকে একটা বডি সমাধি করতে আসে। ওরাই জানায় সমাধিস্থলে দু’টো গর্ত দেখা যাচ্ছে। সেখানে কোনও বডি নেই। আমরা খবর পেয়ে ওখানে যাই। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।”

নদিয়া: সমাধি খুঁড়ে তুলে ফেলা হচ্ছে দেহ, তারপরই হয়ে যাচ্ছে পাচার। শ্মশানের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দেহাংশ। দুর্গন্ধে ঢেকেছে এলাকা। এমনই ভয়ঙ্কর অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল নদিয়ার নবদ্বীপে। উত্তেজনা বাড়তেই এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারেই কেউ বা কারা শ্মশানের সমাধিস্থলে হানা দিচ্ছে। মাটি খুঁড়ে তুলে ফেলা হচ্ছে দেহ। পাশেই রয়েছে ভাগীরথী নদী। তার পাশেই নবদ্বীপ মহাশ্মশান। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন থেকেই শ্মশান চত্বরে প্রচুর বৈষ্ণবদের দেহ সমাধিস্থ করা হয়। সেখানেই এ ঘটনায় শোরগোল রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি প্রশাসনিক মহলেও।
বিরোধীদের অভিযোগ নবদ্বীপের মহাশ্মশান পৌরসভা পরিচালিত। তাই পৌরসভার এই ঘটনা জানে না তা হতেই পারে না। এলাকার বিজেপি নেতা শশধর নন্দী বলছেন, তাঁদের সন্দেহ শতাধিক দেহ তুলে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে। এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, “কেউ না কেউ এখানে থাকে। সর্বক্ষণ এখানে নজর রাখে। তারপর রাতে কাজে নামছে। এখানে নাইট গার্ড দিতে হবে। জায়গা পরিষ্কার করে দিতে হবে। আলো লাগাতে হবে।”
শ্মশানের শিফট ইনচার্জ মানব সাহা বলছেন, “রাত ২টো নাগাদ আমঘাটা থেকে একটা বডি সমাধি করতে আসে। ওরাই জানায় সমাধিস্থলে দু’টো গর্ত দেখা যাচ্ছে। সেখানে কোনও বডি নেই। আমরা খবর পেয়ে ওখানে যাই। গিয়ে দেখি সমাধির জায়গায় গর্ত খোঁড়া রয়েছে। তারপরই আমরা থানায় জানাই। আজ থেকে ওখানে পুলিশ পিকেট বসেছে। কেউ হয়তো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে গর্ত খুঁড়েছিল। কিন্তু, তার ভিতর থেকে দেহ তোলা হয়েছে কি হয়নি তা বুঝতে পারছি না।” যদিও তাঁর দাবি এ ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি, এই পুলিশ। পুলিশকে সবটাই জানানো হয়েছে।
যদিও তোপ দাগতে ছাড়ছে না বিজেপি। বিজেপি নেতা শশধর নন্দী বলছেন, “বৈষ্ণবদের ওখানে সমাধি দেওয়া হয়। কিন্তু ওখান থেকেই নাকি দেহ পাচার হয়ে যাচ্ছে। আমি এলাকায় এসে সবটা দেখি। অভিযোগ সত্যি। পৌরসভা নিশ্চয় জানে। গর্তগুলোর অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে প্রায় শ’ দেড়েক বডি এখান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।” যদিও তৃণমূল বলছে অভিযোগ এসেছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নবদ্বীপ পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আশিস চক্রবর্তী বলছে, “তদন্ত চলছে। আমি চাই দোষীদের চরম শাস্তি হোক।” তবে এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ মানতে নারাজ তিনি। তাঁর সাফ কথা, তদন্তেই আসল সত্যি বেরিয়ে আসবে।
