নদিয়া: চলছিল জলসা। সেখানে আচমকা দুই পক্ষের মধ্যে বচসার জেরে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। জানা গিয়েছে, ওই মৃত বধূর নাম হাসিনা বিবি। বয়স ৪০ বছর। মৃতার স্বামীর অভিযোগ, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বচসার জেরে তারাই বোমাবাজি (Bomb Blast) করে। এমনকী, গুলি চালায় বলে অভিযোগ। বোমাবাজির খবর পেয়ে মৃতার বাড়িতে এসে পৌঁছন তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। ঘটনাটি করিমপুরের কাছেই থানাপাড়ার নারায়ণপুরের ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের।
ঠিক কী হয়েছিল? মৃতার স্বামী মোস্তাকিম মোল্লার অভিযোগ, রবিবার রাতে জলসা চলছিল। হাসিনা বিবি ও মোস্তাকিম মোল্লার এক প্রতিবেশীর সঙ্গে তাঁদের পুরনো বিবাদ ছিল। ওদিন রাতেই, জলসাকে কেন্দ্র করে পড়শিদের মধ্যে বিবাদ মাথাচাড়া দেয়। সেখানে উপস্থিত ওই প্রতিবেশীদের একজন মেয়েদের উদ্দেশে অশ্লীল মন্তব্য করে ও হাত ধরে টানাটানি করে বলে অভিযোগ। মোস্তাকিম তাতে বাধা দিতে গেলে উভয়পক্ষে বচসা শুরু হয়। সেখান থেকেই শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। গভীর রাত পর্যন্ত চলে সেই বচসা।
এরপর, মাঝরাতে আচমকা দুষ্কৃতীরা হাসিনা বিবির বাড়িতে বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। চলে গুলিও। দুষ্কৃীতরা দুই থেকে তিন রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। বোমাাবাজির জেরে রাতেই গুরুতর জখম হন হাসিনা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে, চিকিত্সকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতা হাসিনাবিবির মেয়ের কথায়, “কাল রাতে জলসার সময় আমাদের পাশের বাড়ির ওরা আচমকা এসে ঝামেলা শুরু করে। আমার মাকে যা-তা গালিগালাজ করে। এরপর আমার বাবা বাধা দিতে গেলে ওরা বাবার উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। রাতের বেলা বাড়িতে এসে বোমাবাজি করে। গুলি চালিয়েছে। একটুর জন্য আমার বাবা বেঁচে গিয়েছে। কিন্তু মা তো আর ফিরল না! হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে সব শেষ।”
অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, “এত পবিত্র অনুষ্ঠানে জমায়েত করতে এসে যে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে তা ভাবা যায় না। এসব, যে দুুষ্কৃতীদের কাজ তাদের অবিলম্বে শাস্তি হওয়া উচিত। পুলিশকে বলব দোষীদের ছাড়বেন না। যথোচিত পদক্ষেপ করুন। আমি আজ মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বললাম। আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করব ওই পরিবারের পাশে থাকার।”
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘ভয়ঙ্কর অন্যায় করেছিলাম’, ভুলের ‘মাশুল’ দিতে প্রস্তুত অনুব্রত!