নদিয়া: ভোটের মুখে বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় চলল বোমাবাজি। ভোটের (Panchayat Election 2023) মুখে সন্ত্রাস চালাতেই এই বোমাবাজি বলে অভিযোগ উঠছে। বোমা ফেটে জখম হয়েছেন বিজেপি বিধায়কের ভাই। বোমাবাজির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষও বাধে। এই ঘটনা তৃণমূল ও বিজেপি উভয়পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন বলে খবর। তাদের চিকিৎসার জন্য কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
বিজেপির দাবি, এ ঘটনায় তাদের দলের পাঁচ থেকে ছয় জন গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই বোমাবাজি করেছে। তাতেই আহত হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক মকুটমনির ভাই। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে খবর। খবর পেয়ে কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালেও আসেন বিজেপি বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী।
ঘটনায় এক স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, “রাতে ঘরে তখন শুয়ে পড়েছি। আচমকা দেখি ক্লাবের মাঠে ওরা বোমা মারামারি করছে। সবই তৃণমূলের লোকজন। ক্লাবের ওখানে রোজ রাতে ওরা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত থাকে। ওরাই এলাকায় এখন এলাকায় ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে।”
বিধায়ক মকুটমনি অধিকারী বলছেন, “কৃষ্ণগঞ্জের প্রতিটা পঞ্চায়েত ও রানাঘাট দক্ষিণের বেশিরভাগ পঞ্চায়েতে স্বচ্ছ ভোট, স্বচ্ছ গণনা হলে বিজেপি জিতবে। এখন হারের ভয় থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস পুলিশের মদত নিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।” এ ঘটনায় ইতিমধ্যে বড়সড় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। দেওয়া হয়েছে থানা ঘেরাওয়ের ডাকও।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোষ বলছেন, “ভোট প্রচার সেরে আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী সমীর হালদারের বাড়ির সামনে আমাদের ছেলেরা তখন মাঠে বসেছিল। আচমকা ওদের থেকে ৩০-৪০০ মিটার দূরে একটা বোমা পড়ে। আমাদের ছেলেরা দেখা মাত্রই ছুটে যান। এদিকে তখন মুকুটমনির ভাই অনুপম অধিকারী সদলবলে একদল লোক লাঠি নিয়ে ছুটে আসে। আমাদের ছেলেদের মারধর করে। একজন শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি।”