নদিয়া: হাঁসখালি কাণ্ডে বৃহস্পতিবার সিবিআই রানাঘাট আদালতে পেশ করল তিন অভিযুক্তকে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারক সুতাপা সাহার এজলাসে এদিন তাদের তোলা হলে বিচারক তাদের একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার পরবর্তী শুনানির জন্য ফের তিনজনকে আদালতে তোলা হবে। জানা গিয়েছে, সিবিআই এর তরফে ৩ অভিযুক্তকে আজ আদালতে তোলা হলেও তাদের তারিখ ছিল শুক্রবার। কিন্তু একদিন আগেই রানাঘাট আদালতে তুলে দেওয়া হল অভিযুক্তদের। কারণ ২ মে-র মধ্যে হাঁসখালি কাণ্ডের রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট।
রবিবার অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল ধৃতদের প্রথম রানাঘাট আদালতে তোলা হলে চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। হাঁসখালির নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে একটি অডিয়ো রেকর্ড ভাইরাল হয়, সেখানে ধৃতদের মধ্যে দু’জনের কথোপকথন ছিল। সূত্রের খবর, এই তিনজনের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট, হুমকি দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। এরপরই তাঁদের খোঁজে ছিল তদন্তকারীরা। এই নিয়ে মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করা হল এই ঘটনায়। এরমধ্যে ৪ জনকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) আধিকারীকরা ডেকে পাঠান মূল অভিযুক্তর বাবাকে। মঙ্গলবার সকাল এগারোটা পঞ্চাশ নাগাদ অটো চড়ে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছান তিনি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্য। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে হুমকি, মারধর সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
হাঁসখালিতে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি থেকে ফেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। সেদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। ভোরের আলো ফোটার আগে দেহ দাহও করে ফেলে পরিবার। ৫ এপ্রিলের ঘটনা। এরপর প্রায় সপ্তাহ ঘোরার মুখে প্রথমবার সামনে আসে বিষয়টি। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল ওঠে। পরিবারকে হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করিয়ে রাখা, রাতারাতি দেহ দাহ করানোর জন্য বাধ্য করার মতোও অভিযোগ ওঠে। পুলিশি তদন্তের বদলে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের কথা বলে। একইসঙ্গে হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবার ও তার সাক্ষীদের নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থা রাজ্যকেই করতে হবে বলে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: Siliguri: ফুটপাত দখলমুক্ত করতে গিয়েই বিপাকে সপারিষদ, তারপর…