চাঁদুড়িয়া (নদিয়া) : আবার ডেঙ্গুর আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে। এবার নদিয়ায়। নদিয়া জেলার চাঁদুড়িয়া-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এক কিশোরের শরীরে ডেঙ্গুর নমুনা মিলেছে। আর তার জেরেই এলাকাবাসীরা এখন ডেঙ্গুর আতঙ্কে জুবুথুবু। ওই কিশোরের নাম আকাশ হালদার। তাঁর রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গুর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বর্তমানে আকাশ কল্যাণীতে জওহরলাল নেহরু মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে, এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সন্ধান মেলায় তৎপরতা দেখা গিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যেও। ইতিমধ্যেই সাফাই অভিযান শুরু করে দিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত।
আকাশ হালদার নামে ওই কিশোরকে শুক্রবার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই চাঁদুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে স্যানিটাইজ়েশনের কাজ শুরু করা হয়। পাশাপাশি এলাকায় যেখানে যেখানে জঙ্গল হয়ে রয়েছে, সেগুলিও পরিষ্কার করা হয়। আশা কর্মীরা আকাশের বাড়িতে যান। নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য তীব্রজ্যোতি দাস গ্রামবাসীদের উদ্দেশে পরামর্শ দেন, যাতে এলাকাবাসীরা বাড়িতে জল জমতে না দেন। তিনি বলেন, “এলাকায় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজ়েশন ও পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। তবে বাড়িতে বা এলাকায় জঙ্গল থাকতে দেবেন না বা জল জমতে দেবেন না।”
তিনি বলেন, “একজনের ডেঙ্গু সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। দ্রুত সে সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক, সেই কামনা করি। গ্রাম পঞ্চায়েতে তরফ থেকে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় দ্রুত গতিতে স্যানিটাইজ়েশন করানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে এলাকার কাঁচা ও পাকা ড্রেনগুলিকে পরিষ্কার করা হচ্ছে। আগামী দিনে পরিষ্কার – পরিচ্ছন্নতার দিকে আমরা আরও নজর রাখব। সাধারণ মানুষ যাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমান এবং আশপাশের এলাকা যাতে পরিচ্ছন্ন রাখেন, সেই অনুরোধ করব। অনেক ময়লা জাতীয় জিনিস, যেগুলি ড্রেনে ফেলা উচিত নয়, সেগুলি ড্রেনে ফেলা হচ্ছে। ফলে ড্রেনগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।”
এই বিষয়ে স্থানীয় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক নাড়ুগোপাল হালদার এই বিষয়ে বলেন, “মূলত মশার যে লার্ভা বেরোয়, সেখান থেকেই ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ে। ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর জমা জল। সেই জমা জল আমাদের পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। টায়ার, টিউব, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, চায়ের কাপ, এগুলির মধ্যে জল জমে থাকলে, তাতে মশা ডিম পাড়ে। এই বিষয়গুলিতে নজর দিতে হবে, নাহলে সার্বিক জনস্বাস্থ্য ব্যাহত হবে।”