নদিয়া: আর কয়েকদিন তারপরই রাজ্যের দ্বিতীয় দফার পুরভোট। প্রথম দফার ভোটে সবুজ ঝড় উড়িয়ে রীতিমত বিরোধীদের পরাস্থ করেছে ঘাসফুল শিবির। তবে এই জয়ের পিছনে বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছে তৃণমূলের সন্ত্রাসের পাশাপাশি একাধিক ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। আর এই বিষয়টি শনিবার আরও স্পষ্টভাবে বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শনিবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারে এসে চায় পে চর্চায় যোগ দেন দিলীপবাবু। এদিন তিনি বলেন, “বীরভূম ও ডায়মন্ডহারবারের তিনটি পৌরসভাতে নমিনেশনই করতে দেয়নি, সবাই দেখতে পাচ্ছে সন্ত্রাস কীভাবে হচ্ছে। সন্ত্রাস না করে টিএমসি জিততে পারবেনা। ৪০ বছর ধরে সিপিএমের আমল থেকেই এখানে সন্ত্রাস চলছে। সেই সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে লড়াই করে পার্টিকে বড় করেছি। লোকসভা বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। পৌরসভাতে একাধিক জায়গায় জিতব।”
এরপর সাংগঠনিক দুর্বলতার অস্বীকার করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সারা পশ্চিম বাংলায় সাংগঠনিক দুর্বলতা থাকলে এত প্রার্থী কি করে দিলাম? আমরা এত সন্ত্রাসের মধ্যেও কলকাতাতে সব জায়গায় প্রার্থী দিয়েছি। পুলিশ দিয়ে নির্বাচন করানো হচ্ছে। রাস্তায় বের হতে দেওয়া হচ্ছে না সাধারণ জনগণকে। পশ্চিম বাংলায় তখনই ভোট হয়, যখন পুলিশ-গুণ্ডা উভয়কেই কাজে লাগিয়ে ভোট করানো যাবে তখনই ভোট করা হয়।” দিলীপবাবু দাবি করেন, “৩ থেকে ৭৭ আর আমাদের ১০ পার্সেন্ট ভোট ছিল তা থেকে ৩৮ শতাংশ ভোট হলো। ভোট বেড়েছে, হয়তো কোথাও আমাদের গন্ডগোল ছিল, দোষ ছিল তাই আমরা জিততে পারেনি। এখানে সেন্ট্রাল ফোর্স নেই বলে প্রার্থী হচ্ছে না। তৃণমূলের এক-একজন প্রার্থী ৯০ শতাংশ ভোট পায়। গণতন্ত্রে এমন হয় না কি?”
আরও পড়ুন: Bhatpara Municipal Election 2022: ভাটপাড়ায় বিজেপিতে ভাঙন, পুরনির্বাচনের আগে নয়া সমীকরণ
আরও পড়ুন: Cattle Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়! ইডির হাতে গ্রেফতার এনামুল হক