Nadia: ইতালিতে হোটেলে রাঁধুনি ছিলেন, তাঁরই কিনা ইউরোপে এত বড় কানেকশন! বাংলাদেশের অস্থিরতার মাঝেই ধীরেনের পরিচয় জেনে মাথায় বাজ পড়ল কর্তাদের

Mahadeb Kundu | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 02, 2025 | 12:48 PM

Nadia: কল্যাণী মদনপুরের একটা একতলা বাড়ি। সে বাড়িতে একেবারেই নিম্ম মধ্যবিত্ত ছাপোষা জীবনযাত্রার ছাপ। সেটাই ধীরেনের বাড়ি। স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। কিন্তু ধীরেন গ্রেফতারের পর বাড়ির কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলছে বাইরে থেকে।

Nadia: ইতালিতে হোটেলে রাঁধুনি ছিলেন, তাঁরই কিনা ইউরোপে এত বড় কানেকশন! বাংলাদেশের অস্থিরতার মাঝেই ধীরেনের পরিচয় জেনে মাথায় বাজ পড়ল কর্তাদের
জাল পাসপোর্ট চক্রে ধৃত ধীরেন ঘোষ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

নদিয়া: জাল পাসপোর্টচক্রে নদিয়ার চাকদহ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ধীরেন ঘোষকে। তাঁকে জেরায় উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে মিলল ইউরোপের কানেকশন। পুলিশ জানতে পেরেছে, কাউকে বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে ইতালি ফেরত ধীরেনের ভূমিকা ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতার পর নদিয়া। জাল পাসপোর্ট চক্রের তদন্তে পুলিশ জাল বিছিয়েছে। জাল পাসপোর্টচক্রের নেটওয়ার্কে আরও রহস্যের উন্মোচন। চাকদহের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ধীরেন ঘোষ নামে যাঁকে গ্রেফতার করেছে STF, তাঁকে জেরায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাংলায় জাল পাসপোর্ট চক্রের সঙ্গে মিলে গেল ইতালির কানেকশন।

কল্যাণী মদনপুরের একটা একতলা বাড়ি। সে বাড়িতে একেবারেই নিম্ম মধ্যবিত্ত ছাপোষা জীবনযাত্রার ছাপ। সেটাই ধীরেনের বাড়ি। স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। কিন্তু ধীরেন গ্রেফতারের পর বাড়ির কলাপসিবল গেটে তালা ঝুলছে বাইরে থেকে। এই বাড়িতে বসেই গোটা রাজ্যে জাল পাসপোর্টের নেটওয়ার্ক ছড়িয়েছিলেন ধীরেন। পাড়ায় নিতান্ত ভদ্র, শান্ত ছেলে বলেই পরিচিত। ধীরেনের পর্দাফাঁস হওয়ার পর থেকে স্তম্ভিত তাঁরাও।

পাশের বাড়িরই বাসিন্দা বললেন, “ধীরেনকে দেখে তো কোনওদিনই এই জিনিসটা ভাবতে পারিনি। বুঝতেও পারিনি। আজকে দেখে তো মাথায় বাজ পড়ল। এই লোক এমন হয় কী করে!”

পাশের বাড়ির ‘কাকিমা’ বললেন, “আমি তো জানতাম ইতালিতে হোটেল ম্যানেজমেন্টের কাজ করে। বিদেশে হোটেলে রান্না করে। তারপর শুনি কাপড় জামাও বিক্রি করে। বাংলাদেশ থেকে লোক আসত ওদের বাড়িতে। মা আসত, আত্মীয়রা আসত।”

বাংলাদেশের অস্থিরতার আবহেই বাংলায় খোঁজ মেলে জাল পাসপোর্টচক্রের। তার শিকড় খুঁজতে গিয়েই বারাসত থেকে রিপন বিশ্বাস নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সেটাই ছিল প্রথম। এরপর একে একে সমরেশ বিশ্বাস, দীপক মণ্ডল-সহ আরও অনেকে জালে ধরা পড়ে। সর্বশেষ সংযোজন ধীরেন।

কীভাবে কাজ করতেন  ধীরেন? 

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল দশ বছর ইতালিতে ছিলেন ধীরেন। রাজ্যে ফেরার পরে জাল পাসপোর্ট চক্রে নাম লেখান ধীরেন। বাংলাদেশি নাগরিকদের এপারে আসতে সাহায্য করা, তারপর ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের পান্ডা সমরেশ ও দীপকের কাছে পৌঁছে দিতেন। তবে মনোজ-সমরেশ মূল মাথা হলেও ইউরোপে পাঠানোর ক্ষেত্রে ধীরেনই ছিল মুশকিল আসান।