Nadia: হাত তুলে কৃষ্ণ নাম জপছিলেন, নাচছিলেন ৫ মহিলা, তারপরই যা কাণ্ড…ভয়ঙ্কর ঘটনা দেখলেন সকলে
Ranaghat: এরপর হঠাৎই এক মহিলার হার টেনে ছিঁড়ে ফেলে একজন। ওই মহিলা বুঝতে পেরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। ঘটনাস্থলে ওই ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলে অন্যান্য মহিলারা। এরপরই দেখা যায় পরপর বেশ কয়েকজন মহিলা যারা সম্পূর্ণ অপরিচিত তারা ওই কীর্তনের মাঝে রয়েছে। সকলকেই পাশের একটি ক্লাবে আটকে রাখা হয়।

নদিয়া: বসেছিল নাম-সংকীর্তনের আসর। বহু মানুষের সমাগম সেখানে। পাঁচজন মহিলাও গিয়েছিলেন। কৃষ্ণনামে হাত তুলে নাচছিলেন তাঁরা। কিন্তু চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটবে হয়ত ভাবতে পারেননি কেউ। পাঁচ মহিলার কাণ্ডে হাড়হিম হওয়ার জোগাড় সকলের। কথায় বলে ‘অতি ভক্তি চোরের লক্ষ্মণ’। কীর্তনের আসরে নাচতে-নাচতে এক মহিলার গলা থেকে সোনার হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ। পাঁচ মহিলা চোরের দলকে হাতে-নাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আদালতের কাছে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাল পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত বাবলা নিকুঞ্জপুর গ্রামের। সেখানেই নাম-সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়। তারপর বেশ কয়েকজন গ্রামের পুরুষ থেকে শুরু করে মহিলারাও নাম সংকীর্তন শুনতে উপস্থিত হয়। আর সেই সুযোগের সন্ধানে ছিল এই মহিলা চোরের দল। সুযোগ বুঝে কীর্তনের মাঝে ঢুকে পড়েন তাঁরা। ভক্তি নিয়ে নাচতেও শুরু করেন।
এরপর হঠাৎই এক মহিলার হার টেনে ছিঁড়ে ফেলে একজন। ওই মহিলা বুঝতে পেরে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। ঘটনাস্থলে ওই ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলে অন্যান্য মহিলারা। এরপরই দেখা যায় পরপর বেশ কয়েকজন মহিলা যারা সম্পূর্ণ অপরিচিত তারা ওই কীর্তনের মাঝে রয়েছে। সকলকেই পাশের একটি ক্লাবে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। তারা গিয়ে ৫ ছিনতাইকারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের নাম শান্তনা পাশওয়ান, পার্বতী শাও, গীতা দাস, মিনা পান্ডে এবং পূজা ঘোষ।। এদের পাঁচজনের বাড়ি হুগলি জেলায়। আজ অভিযুক্তদের রানাঘাট আদালতে তোলে পুলিশ। অভিযুক্তদের হেফাজতে তোলা হয়। এর আগেও শান্তিপুরে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেই চুরির সঙ্গে এই পাঁচজনের কোনও যোগযোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
