নদিয়া: সঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছিল। পরীক্ষাও দিচ্ছিল। মাঝে শিক্ষকদের বাথরুম যাচ্ছি বলে উঠে যায়। কিন্তু, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও আর ফেরেনি সেই ছাত্রী। তাতেই সন্দেহ হয় শিক্ষকদের। শুরু হয় খোঁজ। বাথরুমে গিয়ে খোঁজার চেষ্টা হলেও দেখা যায় দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। শেষ পর্যন্ত দরজা ভাঙতেই চোখ কপালে উঠে যায় শিক্ষকদের। দেখা যায় বাথরুমের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় ঝুলছে ওই ছাত্রী। হাত রক্তাক্ত। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান শিক্ষকেরা। খবর যায় পুলিশে। এদিন চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার করিমপুর সেন পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। খবর গিয়েছে পরিবারে। ব্যাপক উত্তেজনা স্কুল চত্বরে।
সেনপাড়া স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকের সিট পড়েছিল করিমপুর জগন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের। ওই স্কুলেই পরীক্ষা চলছে এই ছাত্রীর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান পরীক্ষার মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ওই ছাত্রী। কিন্তু, কেন এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়া ও শিক্ষকদের। নেপথ্যে প্রেম ঘটিত কোনও কারণ নাকি পড়াশোনা নিয়ে কোনও অবসাদ খতিয়ে দেখছে করিমপুর থানার পুলিশ। এদিকে বাড়ির মেয়ের আচমকা এই কাণ্ডে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
বর্তমানে ওই ছাত্রীকে করিমপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুরু হয়েছে চিকিৎসা। পুলিশ জানাচ্ছে, ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে বাথরুমে ঢুকে প্রথমে ব্লেড দিয়ে হাত কেটে ফেলে ওই ছাত্রী। তারপর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরীক্ষার মধ্যেই আচমকা এই ঘটনায় ঘটানোয় অনেকই মনে করছেন পরীক্ষা ভাল না হাওয়ার কারণেও এমনটা করে থাকতে পারে ওই ছাত্রী।