শান্তিপুর (নদিয়া): বর্ষবরণের রাত। ঝোপের ধারে পড়ে যুবকের দেহ। গোটা গলায় পেঁচানো তার। ক্ষতবিক্ষত চেহারা। ঠিক তার অদূরে পড়ে মদের বোতল। সকাল-সকাল যুবকের এ হেন অবস্থায় রীতিমত আতঙ্কিত শান্তিপুরের কদমপুরের বাসিন্দারা।
নদিয়ার শান্তিপুরের কদমপুরের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম অমিত কুমার রাভা (৩০)। তাঁর বাড়ি কোচবিহারে। পেশায় তিনি তাঁত শিল্পি। দিন কয়েক আগে তিনি বেলঘড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে তালতলা পাড়ার বাসিন্দা সুজন দাসের বাড়িতে কাজে এসেছিলেন।
সূত্রের খবর, রবিবার রাত্রিবেলা অমিতবাবু বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। কদমপুর সংলগ্ন আমবাগানে ওই মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। যে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় তার পাশেই পড়েছিল মদের বোতল।
এলাকাবাসীদের দাবি, প্রায়শই ওই আমবাগান এলাকায় একাধিক যুবকরা এসে মদ্যপান করেন। তাই প্রশাসনের প্রাথমিক অনুমান মদের আসরে বসার জেরে ওই যুবক খুন হয়ে থাকতে পারে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই স্পষ্ট বোঝা যাবে ওই যুবক খুন হয়েছে কি না। তবে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। জেরে আতঙ্কিত গোটা এলাকাবাসী।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “শুনলাম এমন ঘটনা ঘটেছে। এরপর পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ধরনের ঘটনা কোনওদিন ঘটেনি।” আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা প্রথমে ঘুরতে এসেছিলাম। তখন চোখে দেখতে পাইনি। ফেরত যাওয়ার সময় দেখি মাঠের মধ্যে একটি ছেলে পড়ে রয়েছে। ওর গলায় তার পেঁচানো ছিল। তবে জুতোটা সামনের সর্ষের ক্ষেতে পড়েছিল। পড়ে আমরা পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।”