Kalyani AIIMS Recruitment Scam: বিধায়ককে আড়াই লক্ষ টাকা দিয়েও চাকরি মেলেনি! কল্যাণী AIIMS-এর নিয়োগ নিয়ে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ
Kalyani AIIMS Recruitment Scam: কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আগেও অভিযোগ উঠেছে। নাম জড়িয়েছে একাধিক বিজেপি বিধায়কের।
নদিয়া : কল্যাণী নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এবার নাম জড়াল রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর। ভোটের আগে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, এইমসে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক। সেই টাকা ফেরত না পেয়ে এবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন অজিত ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি। এ ব্যাপারে বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
কল্যাণী এইমসে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ আগেই উঠেছে একাধিক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। সামনে এসেছে বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের নাম। বেআইনিভাবে আত্মীয়দের নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে ওই দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে। এবার টাকা নেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের হল মুকুটমণি অধিকারীর বিরুদ্ধে।
নদিয়ার রানাঘাট থানার হবিবপুরের বিন পাড়ার বাসিন্দা অজিত ঘোষ জানিয়েছেন, বিধানসভা ভোটের আগে ওই এলাকায় ভোট প্রচারের কাজে মাঝেমধ্যেই আসতেন মুকুটমণি অধিকারী। অজিতের দাবি, তাঁর সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর মুকুটমণি তাঁকে বলেছিলেন কল্যাণী এইমসে চাকরি দেওয়ার কথা। চাকরির জন্য টাকা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন বলেছিলেন বলে দাবি অভিযোগকারীর। তিনি জানান, বিধায়ক তাঁকে বলেছিলেন, গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেতে গেলে ৮ লক্ষ টাকা ও গ্রুপ সি পদে চাকরির জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তিনি অত টাকা একসঙ্গে দিতে পারবেন না বলায়, মুকুটমণি অধিকারী তাঁকে ক্রমে ক্রমে টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন বলেই উল্লেখ করেছেন অজিত।
তাঁর আরও অভিযোগ, চাকরির আশ্বাস পেয়ে জমি বিক্রির আড়াই লক্ষ টাকাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পর বিধায়ক আর কোনও যোগাযোগ করেননি বলেই দাবি করেছেন অজিত। তিনি জানান, পরে মুকুটমণি অধিকারীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে, তাঁকে কার্যত চিনতেই অস্বীকার করেন বিধায়ক। টাকা ফেরতের দাবি নিয়েই অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
এই অভিযোগের কথা স্বীকার করেছেন নদিয়ার বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকার। তাঁর দাবি, তিনি নিজেও মুকুটমণি অধিকারীকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছেন একাধিকবার। কিন্তু বিধায়ক সে ব্যাপারে কোনও কথা বলেননি বলেই দাবি বিজেপি নেতার।
এ প্রসঙ্গে জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তদন্তের মাধ্যমে বের করতে হবে, আসল দোষী কে। বিজেপির মধ্যে মুষলপর্ব চলছে বলে দাবি করেছেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি বাণী রায়।
উল্লেখ্য, এইমসের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে সিআইডি। ইতিমধ্যে নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় কোনও প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রের অনুমতির প্রয়োজন।