নদিয়া : ফের রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। শুক্রবার সকালে রাস্তায় পড়ে থাকা তারে পা লেগে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। নদিয়া জেলার তেহট্টের ঘটনা। বৃষ্টি হলেই এ ভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা পরপর ঘটেছে রাজ্যে। শহর কলকাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের দিকে আঙুল উঠেছে। এবারও সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি। এলাকার মানুষ বলছেন, ‘এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।’
মৃতের নাম ভগীরথ মণ্ডল, বয়স ৬৪। তেহট্টের বয়ারবান্দার ধাওড়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে এ দিন সকালে। জানা গিয়েছে, নাতনির জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খাবার আনতে যাচ্ছিলেন ওই বৃদ্ধ। বাড়ি থেকে বেরনোর কিছক্ষণ পরই এলাকার মানুষ বাড়িতে খবর দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বৃদ্ধকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পেয়েই তাঁর পরিবারকে জানিয়েছিলেন। এরপর পরিবারের সদস্যা ছুটে এসে দেখেন ভগীরথবাবু পড়ে রয়েছেন রাস্তায়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এ দিন বন্ধ ছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। তা না জেনেই রাস্তায় বেরিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ না থাকলে আরও অনেকে এ ভাবে বিপদের মুখে পড়তে পারতেন। বৃদ্ধের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে তেহট্ট থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের পোল থেকে একটি তার ঝুলে পড়েছিল রাস্তার ওপর। সেটাতে পা লেগেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সপ্তাহ খানেক আগে হাওড়ায় টিউশন থেকে ফেরার পথে রাস্তায় পড়ে থাকা তারে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক কিশোরীর। সেখানেও বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। এর আগে গত জুন মাসের শেষদিকে কলকাতার হরিদেবপুরে রাস্তার বাতিস্তম্ভে হাত লেগে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছিল। কিছুদিন পরই আরও দু’জনের মৃত্যু হয় শহরে। বৃষ্টি হলেই কেমন এমন মরণফাঁদের মুখোমুখি হতে হয় সাধারণ মানুষকে, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।