Nadia: বুক ফুঁড়ে যায় দুটো গুলি, ধড় থেকে মুণ্ড কেটে নিয়ে চলে যায় প্রকাশ্যে! শেষ দফার রাতে বিজেপি কর্মীর নৃশংস ‘খুন’

Mahadeb Kundu | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 02, 2024 | 11:49 AM

Nadia: এরপর খবর যায় থানায়। কালীগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে হাফিজুলের নেতৃত্বে এলাকায় সংখ্যালঘুরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনেও ওই এলাকায় বিজেপি বেশ ভালো ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল।

Nadia: বুক ফুঁড়ে যায় দুটো গুলি, ধড় থেকে মুণ্ড কেটে নিয়ে চলে যায় প্রকাশ্যে! শেষ দফার রাতে বিজেপি কর্মীর নৃশংস খুন
বাঁ দিকে হাফিজুল শেখ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

 নদিয়া: শরীর ফুঁড়ে গিয়েছে গুলি।  রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে ধড়। মণ্ডর কোনও হদিশ নেই। শেষ দফা নির্বাচনে  এক বিজেপি কর্মীকে নৃশংস খুনের সাক্ষী থাকল বাংলা।  ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কালীগঞ্জের দেবগ্রামের চাঁদপুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বিজেপি কর্মীর নাম হাফিজুল শেখ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে তৃণমূলের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ হাফিজুল ভোটের কাজে সকাল থেকেই বাইরে ছিলেন। কিন্তু রাতে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরার পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুঁজতে বের হন। সম্ভাব্য সমস্ত জায়গাতেই খোঁজ করেন তাঁরা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারাই একটি দেহ রাস্তায় ধারে পড়ে থাকতে দেখেন। সে দৃশ্য ভয়ঙ্কর। বুক ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে গুলি। ধড় থেকে মুণ্ড কেটে নিয়ে চলে গিয়েছে কেউ। শুধু ধড়টাই পড়ে রয়েছে রাস্তায়। খবর পান হাফিজুলের পরিবারের সদস্যরাও। পরনের পোশাক ও শরীরের চিহ্ন দেখে হাফিজুলকে শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।

এরপর খবর যায় থানায়। কালীগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে হাফিজুলের নেতৃত্বে এলাকায় সংখ্যালঘুরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনেও ওই এলাকায় বিজেপি বেশ ভালো ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। আর সে কারণেই হাফিজুলকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।

মৃতের ভাই জয়েনউদ্দিন মোল্লা বলেন, “আমার ভাই ক্যারাম খেলছিল। আমাদের কাছে সে খবর ছিল। তারপর ওখান থেকে ওকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করা হয়। মাথাটা কেটে নিয়ে চলে যায়। তারপর বোমাবাজিও করে। কাসেম, সহজ, নাসিল, সব্বুর, আলি, বান্টু ওরা সব তৃণমূলের গুন্ড বাহিনী। আমরা এখানে বিজেপি করি, ভাল সংগঠন তৈরি করেছিলাম। আগে সিপিএম করতাম। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর আমরা বিজেপিতে যোগ দিই।”

ইতিমধ্যেই মৃত হাফিজুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তর দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রায় ১০ থেকে ১১ জনের বিরুদ্ধে  থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। কিন্তু তখন বিজেপির ঝান্ডা ধরেও কেউ বাঁচবে না। তখন কিন্তু উত্তরপ্রদেশ এনকাউন্টার হবে। ” এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Next Article