নদিয়া: সপ্তম দফার ভোট সবে শেষ হয়েছে। মঙ্গলে ভোটগণনা। আর এর মধ্যেই বিজেপি কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল নদিয়ার বারুইহুদা এলাকায়। আক্রান্ত দুই মহিলা-সহ তিন জন। বিজেপি করার ‘অপরাধে’ রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সন্ধেয় শোরগোল পড়ে গিয়েছে নদিয়ার কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত বারুইহুদা এলাকায়। আক্রান্তদের দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। খবর পেয়ে তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়।
জানা যাচ্ছে, আজ সন্ধেয় কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন মলয় বিশ্বাস নামে এক বিজেপি কর্মী। সেই সময়েই মাঝরাস্তায় একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্তের অভিযোগ, তাঁকে মারধর করে পাশের একটি ডোবায় ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সেই সময়েই ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন মলয়বাবুর স্ত্রী ও প্রতিবেশী এক কিশোরী। সেই সময় তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্তের স্ত্রীর দাবি, ‘আমি ঠেকাতে গেলে আমাকে কিল-থাপ্পড় মারতে থাকে।’
হাসপাতালে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যান কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীও। তিনিও এই মারধরের ঘটনায় সরাসরি আঙুল তুলছেন শাসক দলের দিকেই। অমৃতা রায় বলেন, ‘বিজেপি কর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে ধরে বেধড়ক মেরেছে গাছের ডাল দিয়ে। পেটে লাথি মেরেছে। মলয়ের স্ত্রীকে মেরে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে।’ তাঁর দাবি, ভোটগণনার আগে ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা চলছে। যাতে বিজেপি কর্মীরা বাইরে না বের হতে পারেন।
আক্রান্ত বিজেপি কর্মী বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকায় এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি পরিবারের তরফে। তবে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করার পর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নদিয়া কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।