AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nadia: ভালবাসার টানে ব্রাজিল থেকে নবদ্বীপের মেঠো পথে টিনের বাড়িতে ম্যানুয়েলা

Nadia: শুক্রবার চার হাত এক হতে চলেছে। ম্যানুয়েলার বাড়িতে মোট ৬ জন সদস্য। তাঁদের বিদায় জানিয়েই এসেছেন তিনি। টিনের চালের বাড়িতে ভালবাসার বন্ধনেই থাকতে চান তিনি।  কার্তিক যখন সুরাটে কাজের সূত্রে ছিলেন,  ঠিক সেই সময় ম্যানুয়েলা ব্রাজিল থেকে দিল্লিতে চলে আসেন। এ

Nadia: ভালবাসার টানে ব্রাজিল থেকে নবদ্বীপের মেঠো পথে টিনের বাড়িতে ম্যানুয়েলা
প্রেমিক যুগলImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2024 | 3:27 PM
Share

নদিয়া: পরনে নাইটি, গায়ে ওড়না, কপালে লাল টিপ! একেবারেই যেন আদ্যোপ্রান্ত গ্রাম্য বধূ। ভালবাসার টানে ব্রাজিল থেকে ভারতে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। তারপর মেঠো পথ পেরিয়ে একেবারে নবদ্বীপের ফরেসডাঙায় ব্রাজিলের মেয়ে ম্যানুয়েলা অ্যালভেস দা সিলভা। নবদ্বীপের ফরেসডাঙা এলাকার দীলিপ মণ্ডলের ছেলে কার্তিকের হবু স্ত্রী! কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামের মেঠো পথের গলি পেরিয়ে সদূর ব্রাজিলে কীভাবে পৌঁছল কার্তিকের মনের কথা! কার্তিক কর্মসূত্রে থাকতেন সুরাটে । সেখানেই একটি ফার্মেসিতে কাজ করতেন তিনি । এরপর ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ব্রাজিলের মেয়ে ম্যানুয়েলা অ্যালভেস দা সিলভা-র সঙ্গে। এর পর প্রায় ৬ বছর এই ফেসবুকের মাধ্যমে কথা বলে এখন তাঁদের দুজনের হাত এক হতে চলেছে আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে । আগামি শুক্রবার গোধূলি লগ্নে একেবারে চার হাত এক হবে বাঙালি বধু সাজে ।

প্রথমে তাঁদের ফেসবুকে আলাপ। তারপর কথাবার্তা চলতে থাকে। ৬ বছরের সম্পর্কের রঙ গাঢ় হতে থাকে।  ভালবাসার সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুজনেই। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা হয় কার্তিকের । এবং মেয়েরও ছেলের পরিবারের সবার সঙ্গেও কথা হয়। ২ বছর আগেই বিয়ের সিদ্ধান্ন নেন দুজনে।

শুক্রবার চার হাত এক হতে চলেছে। ম্যানুয়েলার বাড়িতে মোট ৬ জন সদস্য। তাঁদের বিদায় জানিয়েই এসেছেন তিনি। টিনের চালের বাড়িতে ভালবাসার বন্ধনেই থাকতে চান তিনি।  কার্তিক যখন সুরাটে কাজের সূত্রে ছিলেন,  ঠিক সেই সময় ম্যানুয়েলা ব্রাজিল থেকে দিল্লিতে চলে আসেন। এরপর দিল্লি থেকে কার্তিক ম্যানুয়েলাকে নিয়ে সোজা এই মেঠো গ্রামের বাড়িতে।

বাংলায় কয়েকটা শব্দ শিখেছে ম্যানুয়েলা। যেমন কার্তিক যখন তাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁর অনুভূতি শেয়ার করতে বলেন, তখন লজ্জা পেয়ে ম্যানুয়েলা বলেন, ‘তুমি বলো।’ ম্যানুয়েলা বাংলা শেখার চেষ্টা করছেন। আপাতত কার্তিকের পরিবারের সদস্যরা ‘মোবাইল ল্যাঙ্গুয়েজে’র মাধ্যমেই ম্যানুয়েলার সঙ্গে কথা বলছেন। বিদেশি বৌমা পেয়ে খুশি কার্তিকের বাবা মা। আর এদিকে, বিয়ের আগেই রোজ বিদেশি বৌমা দেখতে টিনের চালের ছোট্ট ঘরে ভিড় জমছে প্রতিবেশীদের। আর ভাষা না বুঝলেও মিষ্টি হেসে তাঁদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করছেন ম্যানুয়েলা।