নদিয়া: দীর্ঘদিন পর স্কুল খুললেও শুরু হল না লেখাপড়া! পঠন পাঠন বন্ধ করেই স্কুলে চলল দুয়ারের সরকার কর্মসূচি। নেই কোন স্কুল দফতরের অনুমোদন। অসহায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। এমন এক ব্যতিক্রমী চিত্র নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার হাঁসখালি ব্লকের ময়ূরহাট রামদুলাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এক দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে যখন খুদেরা স্কুলের মুখ দেখল। বহুদিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা, মিড ডে মিলের স্বাদ পাওয়ার কথা ছিল ওদের। কিন্তু পেল না। স্কুলে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে ময়ূরহাট রামদুলাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। সূত্রের খবর, ওই স্কুলেই সোমবার হল দুয়ারে সরকার কর্মসূচি।
খুদে শিশুরা জানেও না দুয়ারে সরকার কর্মসূচি কী? বহুদিন পর তারা সকালবেলায় স্কুলে যায়। কিন্তু তারা সাতসকালে স্কুলে গিয়ে দেখল, প্রচুর লোকে ভিড় করেছে সেখানে। তাদের বসার জায়গাটুকুও নেই। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে আসে সকলে।
অতিমারি পরিস্থিতি কাটিয়ে দীর্ঘ দু’বছর বাদে স্কুল খুললেও গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছিল। ফের এসব ঝক্কি কাটিয়ে স্কুলমুখো হয়েছিল খুদেগুলো। কিন্তু প্রথম দিনই ফিরে আসতে হল তাদের। পঠন পাঠন বন্ধ রেখে কেন আজকের দিনে এই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি করতে হল? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, “আমরা নির্দিষ্ট সময়েই স্কুলে চলে আসি। তখনই দেখি ওরা সব বারান্দায় বসে রয়েছে। তাবু টাঙিয়ে বসে ছিলেন। এর মধ্যে ডিএলআরও অফিস থেকেও গাড়ি চলে আসে। আমরা জানতামও না। এত ভিড়ে বাচ্চারা এসেও চলে গিয়েছে।”
দুয়ারে সরকার কর্মসূচির এক কর্মী বলেন, “বিডিও-র অনুমতি অনুযায়ী, আমরা দুয়ারে সরকারের প্রচার অনেকদিন আগেই করেছিলাম। আজকে স্কুল খুললে আমরা কী করব? আমাদের অনেকে বলল অনেক দিন পর স্কুল খুলল, আজ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে। তাই আজ অনেক বাচ্চাই আসবে না। এলাকার মানুষের চাপে পড়েই এখানে কর্মসূচি করলাম।”
এই বিষয়ে হাঁসখালি বিডিও রত্না চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া নিতে গিয়েছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি। তাঁকে দীর্ঘ ২ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখার পর তিনি জানিয়ে দেন, এই বিষয়ে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন না।