নদিয়া: অশান্তি করে এসে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন স্ত্রী। তবুও রেহাই মেলেনি ‘মদ্যপ’ স্বামীর হাত থেকে। আচমকা শ্বশুরবাড়িতে আসেন স্বামী। তারপর…
নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার বাইগাছি পাড়া এলাকার ঘটনা। সেখানেই মদ্যপ অবস্থায় শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে স্ত্রী ও শ্বশুরকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারার অভিযোগ উঠল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। জামাইকে আক্রমণাত্মক অবস্থায় দেখে ঘর ছেড়ে পলাতক শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাত্রিবেলা শান্তিপুর এক নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বাস পাড়ার অজয় বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় যান শান্তিপুর বাইগাছি পাড়া শ্বশুরবাড়িতে। সেখানেই হঠাৎ চড়াও হন তিনি। অভিযোগ, এরপরেই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন।
অজয় বিশ্বাসের স্ত্রী নমিতা বিশ্বাস প্রতিবাদ করতেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী সহ শ্বশুরকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন জামাই। ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন স্ত্রী ও শ্বশুর। লুটিয়ে পড়ে থাকেন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁদেরকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসলে স্ত্রী ও শ্বশুরের শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক সেলাই পড়ে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শান্তিপুর থানার পুলিশ এরপর ওই মদ্যপ জামাই অজয় বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে।
যদিও, আহতরা কেমন আছে তা খতিয়ে দেখার জন্য শান্তিপুর হাসপাতালে যায় পুলিশ। স্ত্রী নমিতা বিশ্বাস বলেন, ‘শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার প্রায় সতেরো বছর ধরে সহ্য করে আসছি। পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রতিবাদ করিনি কোনওদিন। মাঝেমধ্যেই মারধর করে, এইভাবে আমার বাবার বাড়িতে ঢুকে এই কাণ্ড ঘটাবে তা কখনও ধারণাই করতে পারিনি।’ যদিও, গুরুতর আহত স্ত্রী নমিতা বিশ্বাসের এখন একটাই দাবি ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এবং ও যেন জেল খাটতে পারে তার ব্যবস্থা করুক পুলিশ।’
যদিও এই ঘটনায় এখনও চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্ত্রী নমিতা বিশ্বাসের বাপের বাড়ির লোকজনেদের। আর এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়।