Electrocution in Nadia: আচমকা গোটা বাড়িটাই হয়ে উঠেছিল ‘মৃত্যুপুরী’, মুহূর্তেই বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট খোদ গৃহকর্তা!

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Nov 29, 2021 | 12:34 AM

Death in Accident: রবিবার দিন সকালে বাড়িতে ছিলেন মদন ও তাঁর পরিবারেরই দুই সদস্য। আচমকাই যে গোটা বাড়ি তাঁর বিদ্যুত্‍বাহী হয়ে গিয়েছে তা বুঝতে পারেননি কেউই।

Electrocution in Nadia: আচমকা গোটা বাড়িটাই হয়ে উঠেছিল মৃত্যুপুরী, মুহূর্তেই বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট খোদ গৃহকর্তা!
মৃত মদন হালদার, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

নদিয়া: বৃষ্টি-বাদলা কিছুই নেই। ঘরেও কোথাও জল জমেছে এমন নয়। আশেপাশে খোলা তার পড়েছিল এমন খোঁজও মেলেনি। অথচ, আকস্মিকভাবে একটা গোটা বাড়ি বিদ্যুত্‍বাহী হয়ে গেল! কিছু বোঝার আগেই বাড়িতে পা দিয়েই মৃত্যু হল (Electrocution) খোদ গৃহকর্তার! আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও  ২জন! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি শান্তপুরের সূত্রাগড়ের। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মদন হালদার।

ঠিক কী হয়েছিল? স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকার বিদ্যুত্‍ সরবরাহকারী  অফিসের সামনেই মদন হালদারের বাড়ি। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ আচমকাই মদনের গোটা বাড়ি শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। কী করে আস্ত একটা বাড়িতে শর্ট সার্কিট হল তার কারণ অবশ্য বলতে পারছেন না কেউ। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত দুই একদিনে কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি। জল জমেনি। যেখান থেকে এমন  বিপদ ঘটতে পারে। তবে তাঁদের অনুমান, পাশেই ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিস থাকার জন্য সেখান থেকে কোনও বিপদ হলেও হতে পারে।

রবিবার দিন সকালে বাড়িতে ছিলেন মদন ও তাঁর পরিবারেরই দুই সদস্য। আচমকাই যে গোটা বাড়ি তাঁর বিদ্যুত্‍বাহী হয়ে গিয়েছে তা বুঝতে পারেননি কেউই। শর্টসার্কিটের জেরে বাড়ির মধ্যেই বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হন মদন। তাঁর সঙ্গে তড়িদাহত হন আরও দুই সদস্য। সঙ্গে সঙ্গে কোনওরকমে তাঁদের উদ্ধার করে এনে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‍সকেরা মদনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এদিকে মদনের মৃত্যুর খবর পেয়ে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তবে গোটা বাড়ি কী করে শর্ট সার্কিট হয়ে গেল তা নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে। পাশাপাশি, কী করেই বা মদন মারা গেলেন বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে তাও স্পষ্ট নয়। বিদ্যুত্‍ অফিসের কর্মীরা সবদিক খতিয়ে দেখছেন। তবে  এখনও কোনও বিশেষ কারণ তাঁরা খুঁজে পাননি।

সম্প্রতি, খড়দহতে বাড়ির মধ্যে  জমা জলে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট (Electrocution) হয়ে মৃত্যু হয় এক পরিবারের তিন সদস্যের। পাতলিয়ায় সরকারি আবাসনে নিজের স্ত্রী ও দুই পুত্রকে নিয়ে থাকতেন বছর চল্লিশের রাজা দাস। টানা বৃষ্টির জেরে আবাসনের ভেতরেও জল জমে। জমা জলেই ঘরের মধ্য়েই বাড়ির কোনও কাজে বিদ্যুত্‍ সংযোগ করতে গিয়েছিলেন রাজা। সেইসময়ে তিনি বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হন। স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে আসেন স্ত্রী পৌলমী। তিনিও বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট ( Electrocution) হন। মা-বাবাকে বাঁচাতে আসেন বছর এগারোর শুভ দাস। সেসময় খাটের ওপর বসেছিল তার ছোট ভাই। কিন্তু, মা-বাবাকে বাঁচাকে গিয়ে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয় শুভও। বেঁচে যায় চার বছরের নাবালক।

চার বছরের ছোট ছেলেটি কী করবে বুঝতে না পেরে প্রতিবেশীদের ডেকে আনে। রাজা, পৌলমী ও শুভ তিনজনকেই ব্যারাকপুর বিএন বোস মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসকেরা তিন জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানায়। ছুটে আসে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই তিনজনের। একই পরিবারের তিনজনের এভাবে মৃত্য়ুতে কার্যত চাঞ্চল্য ছড়ায়।

এক পরিবারের তিন সদস্যের বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জমা জল নিষ্কাশনে সেচ দফতর (Irrigation Department) থেকে ৬টি পাম্প ও দমকল ২টি পাম্প আনা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খড়দহ পাতলিয়ার ওই বিস্তীর্ণ এলাকার নিকাশী ব্যবস্থা সুসংহত করতে ২ কোটি টাকার একটি পাম্পিং প্রোজেক্ট অনুমোদন করা হয়েছে। কিছু প্রশাসনিক কারণে তা আটকে রয়েছে। সেগুলি  ঠিক হলেই কাজ শুরু হবে বলে জানান এক সরকারি অধিকর্তা।

আরও পড়ুন: Akhil Giri on Suvendu Adhikri: ‘বিহার থেকে জাল শংসাপত্র আনিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা’

 

Next Article