নদিয়া: রেললাইনের ধারের জঙ্গল। সচরাচর সেখানে খুব বেশি লোকের যাতায়াত নেই। ইদানীং সেই এলাকা থেকে গন্ধ বের হচ্ছিল। দিন যত এগোতে থাকে, গন্ধ হতে থাকে আরও প্রকট। দুর্গন্ধের উত্স খুঁজতে খুঁজতেই ঝোঁপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় মাথার খুলি। মাথার খুলি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার ধানতলা থানার বঙ্কিমনগরে।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দিয়ে বেশ কিছু দিন দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। প্রথমে স্থানীয়রা তাতে বিশেষ আমল দেননি। ভেবেছিলেন, কোনও পশু কিংবা পাখি মরে পড়েছে। এরকম ঘটনা আখছারই হয়। কিন্তু গন্ধ আরও প্রকট হলে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা।
তাঁরাই প্রথমে খোঁজ করা শুরু করেন। লাঠি হাতে ঝোঁপ সরিয়ে খুঁজতে থাকেন গন্ধের কারণ। তখনই চোখে পড়ে একটি মানুষের মাথার খুলি। মাংস গলে পড়েছে পাশে। তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এলাকায়। মাথার খুলিটি পড়েছিল রানাঘাট গেদে শাখার রানাঘাট বঙ্কিমনগর স্টেশনের মাঝখানে রেল লাইনের ধারে ঝড় জঙ্গলে।
মানুষের মাথার খুলি পড়ে থাকতে দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। তাঁরা খবর দেন পুলিশে। পরে পুলিশ গিয়ে মাথার খুলিটি উদ্ধার করে। খুলি পাওয়া গেলেও কোন দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
প্রশ্ন উঠছে, যদি ট্রেনের ধাক্কা মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে কেবল মাথার খুলিই সেখানে পড়ে থাকবে? নাকি কেউ খুন করে মুণ্ড কেটে এখানে ফেলে রেখে গিয়েছে? একাধিক প্রশ্ন উঠছে মাথার খুলি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে।
স্থানীয়দের অনুমান, খুন করেই মুণ্ড ফেলে রাখা হয়েছে। এলাকার কোনও ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আশেপাশের থানাগুলিকে খবর দেওয়া হয়েছে। কোনও নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে কিনা। আপাতত খুলিটিকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এর আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে ফাঁকা মাঠের জমি থেকে উদ্ধার হল পোড়া মাথার খুলি, মহিলার মাথার চুল ও হাতের চুড়ি! ঘটনাস্থল থেকে খড় পোড়ার অবশিষ্টাংশ উদ্ধার হয়েছিল। দেহ লোপাট করতে খড় পোড়ানো হয়েছিল কি না বা আদৌ কোনও মৃতদেহ পোড়ানো হয়েছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হয়।
মনে করা হয়, রাতের অন্ধকারে কোনও মহিলাকে তুলে এনে ‘অপকর্ম করে’ (Rape) দেহ লোপাট করতে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। আবার এও হতে পারে কোনও মৃতদেহ এনে পোড়ানো হয়। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকায়।