শান্তিপুর: প্রতিদিন দেরি করে ঘুম থেকে উঠত মেয়েটি। আজও তার অন্যথা হয়নি। তবে স্কুলের দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে বারবার তাঁকে ডাকাডাকি করতে থাকেন তাঁর মা। তবে রুমের দরজা না খোলায় সন্দেহ হয়। পরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে রয়েছে ওই পড়ুয়া।
মৃতের নাম পায়েল বিশ্বাস (১৬) তাঁর বাড়ি শান্তিপুর দু’নম্বর ওয়ার্ড স্টেশন পাড়া এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত্রিবেলা খাবার খেয়ে ওই স্কুল পড়ুয়া নিজের ঘরে শুতে যায়। যদিও, প্রতিদিনই একটু বেলা করে ঘুম থেকে ওঠে স্কুল ছাত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল নটা নাগাদ পরিবারের লোকজন ওই স্কুলছাত্রীকে ডাকাডাকি করলে সারা শব্দ না পাওয়াতে ঘরের দরজা ভাঙেন।
তারপরই আঁতকে ওঠেন সকলে। ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন স্কুল ছাত্রী ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এরপরই পরিবার খবর দেয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। এরপর ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
ওই স্কুল ছাত্রীর কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটাল সে তা বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার। সূত্রের খবর ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা এবং মা দুজনেই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। পায়েল ও তাঁর দাদা পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে থাকত।বৃহস্পতিবার ছাত্রীর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। তবে ছাত্রীর আত্মঘাতীর ঘটনায় তদন্তে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
মৃতের দাদা বলেন, “প্রতিদিন খুব থেকে উঠতে দেরি করত। সেই মতো এদিনও করছিল। পরে স্কুল যেতে দেরি হবে সেই কারণে আমরা ওকে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দরজা ভেঙে দেখি ঝুলন্ত অবস্থা