নদিয়া: চিনা গুপ্তচর হান জুনেইর পর বাংলাদেশি বরণাশিরিন শেখ। মঙ্গলবার, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এক বাংলাদেশি মহিলাকে আটক করে বিএসএফ জওয়ানরা (BSF)। এদিন, সকালে তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় সেনা জওয়ানদের। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করতেই তাঁকে আটক করেন বিএসএফ জওয়ানরা। খবর দেওয়া ধানতলা পুলিশেও।
ধানতলা পুলিশের এক অধিকর্তা জানিয়েছেন, আটক হওয়া ওই বাংলাদেশি মহিলার নাম বরণাশিরিন শেখ। তিনি জেরায় নিজেকে ঢাকার বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। বছর চব্বিশের বরণাশিরিন এদিন সকালে নদিয়ার ধানতলা থানার অন্তর্গত ঝরপাড়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। সেখানে কেন তিনি এসে পৌঁছেছিলেন কীভাবেই বা এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বিএসএফ (BSF) সূত্রে খবর, ওই মহিলা প্রাথমিক জেরায় জানিয়েছেন তিনি বাংলাদেশের ঢাকা শহরের বাসিন্দা। কেন তিনি এ দেশে আসার চেষ্টা করছিলেন এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি বরণাশিরিন। এমনকী, ওই মহিলার থেকে কোনও বৈধ নথিও পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। যদিও, এত সহজে ওই মহিলার নিষ্কৃতী নেই বলেই জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্তারা। তাঁদের অনুমান, ওই মহিলা কোনও পাচারকার্যের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন। থাকতে পারে অন্য কোনও অভিসন্ধিও। ধৃত ওই মহিলাকে এদিন রানাঘাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, গত মাসেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এক হান জুনেই নামের এক চিনা নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত করে পরে দেখা যায় ধৃত হান জুনেইয়ের কাজ ছিল তথ্য় পাচার করা ও অনলাইনে টাকা লুঠ করা। ধৃত সেই চিনা নাগরিকের প্রায় ১৩ হাজার ভারতীয় সিম আবিষ্কার করেছিলেন গোয়েন্দারা। হান জুনেই ধরা পড়ার পর থেকেই সীমান্তে বিশেষ সচেতন হয়েছে রক্ষী বাহিনী। ধৃত এই বাংলাদেশী মহিলাও কোনও চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: মালদায় বাংলাদেশ সীমান্তে আটক এক সন্দেহভাজন চিনা নাগরিক