নদিয়া: গণনা শেষ হওয়ার পরই এক নির্দল প্রার্থীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল নদিয়ার রামনগরে। বুধবার রাতে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রামনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে যা ফলাফল হয়েছে, তাতে এককভাবে বোর্ড গঠন করতে পারছে না কোনও দলই। এই ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর বুধবার পুলিশ নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে অপহরণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে রানাঘাট কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পঞ্চায়েতের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হওয়ায় বোর্ড গঠনে অনিশ্চিত তৃণমূলের, তাই নির্দল প্রার্থীদের পুলিশ পাঠিয়ে অপহরণ করার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ এলাকার মানুষের।
রামনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২০টি আসন। তার মধ্যে ন’টি আসন পেয়েছে বিজেপি, ন’টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। আর দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী। ফলে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা যাবে না এককভাবে। সে কারণেই নির্দল প্রার্থী তাপস আঢ্যকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
তাদের দাবি যে তাকে পুলিশি তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক তৃণমূলে যোগদান করানোর হবে। ওই প্রার্থী যেতে না চাইলেও তাকে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তখনই এলাকার মানুষ এসছে বাধা দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায়। এরপর খুব ক্ষুব্ধ মানুষ রানাঘাট কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কে আইস তলায় পথ অবরোধ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, মানুষের ভোটে জেতা একজন প্রার্থীকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাঁদের দাবি, গণনার দিন ভোরেই ওই প্রার্থীর বাড়ির সামনে গিয়ে গুলি চালায় কেউ বা কারা। সেই ফুটেজও আছে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের না ধরায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।