নদিয়া: ভোটের ডিউটিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু। রেবতীমোহন বিশ্বাস নামে ওই শিক্ষক প্রিসাইডিং অফিসারের ডিউটি করছিলেন নদিয়ার করিমাপুরের একটি বুথে। বুথের মধ্যেই সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় রেবতীমোহনের। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অভিযোগ, নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছিলেন রেবতীমোহন। পারিপার্শ্বিক চাপ সহ্য করতে না পেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
জানা গিয়েছে, ভোটের ডিউটি পড়ায় ৮ জুলাই সকাল-সকাল বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সকাল থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। ভোট চলাকালীনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বুথের অন্যান্য কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তিনি। বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ রেবতীমোহন বিশ্বাসের মৃত্যু হয়।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, রেবতীমোহন যে বুথে কাজ করছিলেন, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। অভিযোগ, তাঁর ওপর নানাভাবে চাপ তৈরি হচ্ছিল। পারিপার্শ্বিক এই সমস্ত মানসিক চাপকে তিনি সহ্য না পারেননি। সেই চাপ থেকেই তাঁর সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, এর দায় নির্বাচন কমিশনারকে নিতে হবে। প্রয়োজনে তাঁরা আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।
প্রসঙ্গত এর আগে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজকুমার রায় নামে এক ভোটকর্মীরও মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালে ১৩ মে ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন। তিনি উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির দোমোহনা হাইমাদ্রাসার সহ শিক্ষক ছিলেন। সে বছর রাজ্য পুলিশেই হয়েছিল নির্বাচন। তাঁর ভোটের ডিউটি পড়েছিল ১৩ মে। ইটাহার ব্লকের সোনাপুর এফপি স্কুলের বুথে প্রিসাইডিং অফিসার হয়েছিলেন। সেবারও রাজ্য জুড়ে একাধিক জায়গা থেকে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠছিল। সেদিন ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকে আর রাজকুমারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর পরিবর্তে অন্য এক প্রিসাইডিং অফিসারকে দিয়ে ভোট সম্পন্ন করা হয়। পরে তাঁর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয় রেললাইনের ধার থেকে।