Santipur: চক্ষু পরীক্ষা করাতে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেল চোখ, ডাক্তারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের
Santipur: শান্তিপুর থানার বাগআঁচড়া ঢাকা পাড়ার বাসিন্দা সুজিত বিশ্বাস অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার ফলে তাঁর চোখ নষ্ট করে দিয়েছেন ওই চিকিৎসক।

নদিয়া: চক্ষু পরীক্ষা করাতে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেল চোখ। ভুল চিকিৎসা করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ এক চক্ষু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। দরিদ্র পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি চোখ হারিয়ে দিশাহীন পরিবার। তাঁর এই পরিণতিতে চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে অভিযোগ দায় থানায়।
ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা অরূপ বিশ্বাস। তিনি পেশায় চক্ষু চিকিৎসক তিনি। শান্তিপুর থানার বাগআঁচড়া ঢাকা পাড়ার বাসিন্দা সুজিত বিশ্বাস অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার ফলে তাঁর চোখ নষ্ট করে দিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তিনি এই মর্মে শান্তিপুর থানায় অভিযুক্ত চিকিৎসক অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সুজিত বিশ্বাস জানান, দিন কয়েক আগে তিনি ওই চিকিৎসকের কাছে চোখের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর দেওয়া ওষুধ ব্যবহারের ফলে দিনের পর দিন চোখটি খারাপ হতে শুরু করে। সেই কারণে তিনি শান্তিপুর স্টেট জেনারেল সরকারি হাসপাতালে পুনরায় তার চোখটি দেখাতে যান। সেখানেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, তাঁর চোখটি একদম খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেই কথা শুনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই ব্যক্তি। পরবর্তীতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুজিত বিশ্বাস। তিনি দাবি তোলেন, যেভাবে ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে তার চোখটি সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক পুলিশ প্রশাসন। তিনি বলেন, ”
যদিও সুজিত বিশ্বাসের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত চিকিৎসক অরূপ রায়। তাঁর দাবি, কোনও ভুল চিকিৎসা করেননি তিনি। যে ওষুধ তাঁকে দেওয়া হয়েছিল সেটি সঠিকভাবে তিনি প্রয়োগ করেনি। নির্দেশ অনুযায়ী পুনরায় তিনি তাঁর কাছে যাননি। এর পিছনে ষড়যন্ত্র থেকে থাকতে পারে।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল জেলা আইনটি টিউসি সভাপতি সনৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এই বিষয়টি রাজনীতির কোনও আঙিনার মধ্যে পড়ছে না। স্বাস্থ্য দফতর নিশ্চয়ই তদন্ত করবে। প্রশাসন রয়েছে তারাও তদন্ত করবে। তবে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে প্রশাসন।”
