হাঁসখালি : ১৪ বছরের কিশোরীর মৃত্যুর পাঁচ দিন পর অভিযোগ দায়ের হয়েছে হাঁসখালিতে। গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়েছে এক যুবককে। আর এই ঘটনাকে ধর্ষণ বা গণধর্ষণ বলা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কিশোরীর মৃত্যুর কারণ কী, তা স্পষ্ট নয়। প্রেমের সম্পর্ক? নাকি গর্ভবতী ছিল ওই কিশোরী? এই সব প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কিন্তু ঘটনার রাতে হাঁসখালিতে ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানালেন নদিয়ার রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার সায়ক দাস সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, অভিযুক্তের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার। সেই কারণেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সে দিন অংশগ্রহণ করেছিল কিশোরী। তারা দুজনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, গত ৫ এপ্রিল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যে ছেলে মূল অভিযুক্ত সোহেল গোয়ালীর বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ওই কিশোরী। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে আসে সে। বাড়ি ফিরেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শেষ রাতে গ্রামের একজন চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে ছোটেন পরিবারের সদস্যরা। ফিরে এসে দেখেন নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা গোপন জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, ওই নাবালিকাকে এলাকার কয়েকজন যুবক তড়িঘড়ি শ্মশানে দাহ করেন।’ কারা সেখানে ছিল, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম পরিবারের তরফ থেকে পুলিশকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে দেখছি, কী কারণে কোনও রকম ডেট সার্টিফিকেট ছাড়াই তড়িঘড়ি দাহ করে দেওয়া হল নাবালিকা দেহ।’
২৪ ঘণ্টার মূল অভিযুক্ত সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আবারও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেদিন কী ঘটনা ঘটেছিল, কী সম্পর্ক ছিল তাঁর সঙ্গে ওই কিশোরীর, সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হবে অভিযুক্তের কাছ থেকে।
আরও পড়ুন : SSC Recruitment Scam: পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল OMR Sheet-ও, শুধু একটা ভুলেই ফাঁস এসএসসি-র ‘কীর্তি’