নদিয়া: কখনও ২০০ কখনও বা ৪০০। দেদার কিলোদরে বা কখনও হকারিতে বিকোচ্ছে সাইকেল। শুধু সাইকেল বলা ভুল হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রে সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল। যা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
নদিয়ার শান্তিপুরের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, নদিয়ার একাধিক জায়গায় ঈদের ভাংড়ি হিসাবে কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল। তা কিনতেও দেখা যাচ্ছে অনেককে। কখনও দু’শো কখনও বা চারশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে সরকারি প্রকল্পের এই সাইকেল। তবে, এই ঘটনা প্রথম নয়, এর আগেও এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে এক হকার কাদের আলী বলেন, ‘একটু ভালো সাইকেল থাকলে ৪০০ টাকা, কিংবা তার কম সাইকেল থাকলে ২০০ থেকে আড়াইশো টাকায় আমরা কিনে নিয়ে যাই।’ অন্যদিকে, এক বিজেপি নেতা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন রাজ্য সরকারের প্রতি। বিজেপির শান্তিপুর এক নম্বর শহর সভাপতি অমিত বৈরাগী বলেন, ‘অবিলম্বে সরকারকে প্রাপকদের চিহ্নিত করে সাইকেল দেওয়া উচিত। তার কারণ যাদের সামর্থ্য আছে তাঁরা ইতিমধ্যেই বাড়িতে দুই চারটে সাইকেল রেখে দিয়েছে। সরকারের দেওয়া সাইকেল একেই নিম্নমানের, সেই কারণে তাঁরা বাড়ি রেখে-রেখে সাইকেল গুলি নষ্ট করে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে সরকারের অর্থের ক্ষতি হয়।’
যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলের শান্তিপুর পৌরসভার পৌর প্রতি সুব্রত ঘোষ অভিভাবকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এতে অভিভাবকদের আরও সংযত হওয়া উচিত। এভাবে সাইকেল বিক্রি করার কোনও প্রয়োজনই নেই। তাঁরা চাইলে সাইকেল নাও নিতে পারেন। এতে আরও এক গরিব মানুষ সুবিধা পেতে পারেন। তবে আমাদের হাতে উপযুক্ত প্রমাণ থাকলে সংশ্লিষ্ট দফতরে সেই অভিভাবকের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করব।’ ইতিমধ্যেই সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে উঠে এসেছে বিস্তর প্রশ্ন।