কৃষ্ণনগর: স্বচ্ছ নিয়োগ, দ্রুত কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, সুষ্ঠ পঞ্চায়েত নির্বাচন-সহ (Panchayat election) একগুচ্ছ দাবি নিয়ে এদিন ফের পথে নামে সিপিএমের (CPIM) ছাত্র-যুব সংগঠন। এসএফআই-ডিওয়াইএফআইয়ের (SFI-DYFI) তরফে এদিন নদিয়ায় ডাক দেওয়া হয় জেলা পরিষদ অভিযানের। এই কর্মসূচিকে ঘিরেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেল কৃষ্ণনগরে।
এদিন মিছিলের শুরুতেই কৃষ্ণনগরে পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি বেধে যায় এসএফআইয়ের কর্মী সমর্থকদের। এদিকে মিছিলে অশান্তির আঁচ পেয়ে আগে থেকেই জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ। তৈরি রাখা হয়েছিল জলকামানও। মিছিল শুরু হতেই পথ আটকায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বেঁধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। একের পর এক ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। এদিনের জেলা পরিষদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি সহ জেলা ডিওয়াইএফআই ও এসএফআই নেতৃত্বরা।
জেলা পরিষদ অভিযানের পর কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানা অভিযানে সামিল হয় বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতৃত্ব থেকে কর্মী সমর্থকেরা। যা নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত থাকল জেলার রাজনৈতিক মহল। পুলিশের মারে ও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি জেরে ছয় জন এসএফআই কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। মীনাক্ষী মুখার্জি নিজে হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন,”পুলিশ স্যান্ডউইউজ হয়ে গিয়েছে। উপরের শাসকের চাপ নীচে জনগণের চাপ। পুলিশ বেআইনি কাজ করছে। সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সব ছবি তুলে রাখা হয়েছে জবাবদিহি করতে হবে প্রশাসনকে।”