Nadia: বাবা-মায়ের নাম নেই ২০০২-এর লিস্টে, BLO-র দায়িত্বে ছেলে
Voter List: নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৪ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকলে কোনও নথি দেখাতে হবে না। আর ওই তালিকায় বাবা-মায়ের নাম না থাকলে যে কোনও একটি নথি দেখাতে হবে।

নদিয়া: রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর-এর প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মতো আজ মঙ্গলবার থেকেই সেই প্রক্রিয়া কার্যত হয়েছে। এরই মধ্যে রাজ্যে সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। নদিয়া জেলার চাকদহ থানার অন্তর্গত তাতলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এই এলাকার মষরা মাঠপাড়ায় অভিযোগ উঠেছে, বিএলও-র দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তির বাবা-মায়ের নাম নেই ২০০২-এর ভোটার তালিকায়।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৪ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকলে কোনও নথি দেখাতে হবে না। আর ওই তালিকায় বাবা-মায়ের নাম না থাকলে যে কোনও একটি নথি দেখাতে হবে।
নদিয়ার বিষ্ণুপুর হাড়িপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ৯১/১৩০ পার্টের-র BLO র দায়িত্ব পেয়েছেন। তাঁর নাম রনি অধিকারী। অভিযোগ, তাঁর মা পুষ্পরানী অধিকারী এবং বাবা দুলাল অধিকারী ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে এপারে আসেন এবং অবৈধভাবে তাঁদের নামে নথিপত্র বের করেন। তারপর ২০১৮ সালে ৬০ বছর বয়সে পুষ্পরানি অধিকারী তাঁর ছোট ছেলে রনি অধিকারীকে সম্পর্কিত ব্যক্তি হিসেবে দেখিয়ে ও দুলাল অধিকারী ৬৮ বছর বয়সে তাঁর বড় ছেলে রবিন অধিকারীকে সম্পর্কিত ব্যক্তি হিসেবে দেখিয়ে নাম তোলেন।
রনি অধিকারীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, তাঁর নাম আগে থেকে ভোটার তালিকায় থাকলেও বাবা-মা তাঁর সঙ্গে থাকতেন না, তাই নাম ছিল না। বাবা-মা কোথায় থাকতেন, সে ব্যাপারে কোনও সদুত্তর নেই রনি অধিকারীর কাছে। তাঁর দাবি, এক আত্মীয়ের কাছে বড় হয়েছেন তিনি।
