AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nadia: তৃণমূল নেত্রীর মেয়েকে প্রথম বিয়ে, দ্বিতীয় বিয়ে করতেই ফাঁস হয়ে গেল তৃণমূল ব্লক সভাপতির নারীসঙ্গের কাহিনি

Nadia: বিয়ের কয়েকমাস পরই তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন সুব্রত সরকারের দ্বিতীয় স্ত্রী। বাবা-মার কাছে চলে আসেন তিনি। কয়েকদিন আগে শান্তিপুর থানায় সুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির কঠোর শাস্তির দাবি জানালেন।

Nadia: তৃণমূল নেত্রীর মেয়েকে প্রথম বিয়ে, দ্বিতীয় বিয়ে করতেই ফাঁস হয়ে গেল তৃণমূল ব্লক সভাপতির নারীসঙ্গের কাহিনি
শান্তিপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীরImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 02, 2025 | 5:53 PM
Share

নদিয়া: প্রথম স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। চলছে আইনি লড়াই। তার মধ্যেই প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ফের বিয়ে করার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিয়ের পরই পণের জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠছে তৃণমূল এই নেতার বিরুদ্ধে। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকার। অভিযুক্ত সুব্রত সরকার তৃণমূলের শান্তিপুরের ব্লক সভাপতি।

সুব্রত সরকারের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী বলেন, “বাড়ির অমতে সুব্রত সরকারকে গত বছরের ২৩ মে বিয়ে করি। কিন্তু, বিয়ের পরই জানতে পারি, সুব্রতর আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল। দুটি মেয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিয়ের পর আমি বুঝতে পারি উনি বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। একাধিক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের ঘরেই দলের এক নেত্রীর সঙ্গে ২ ঘণ্টা কাটাত। আমি এই নিয়ে বলতেই আমার উপর নির্যাতন শুরু করেন। ওঁর মা ও বোনও মারধরে সাহায্য করতেন। নানা ওষুধ আমার উপর প্রয়োগ করত। কী ওষুধ জানি না। তবে আমি দুর্বল হয়ে পড়তাম। আমাকে বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিত।”

বিয়ের কয়েকমাস পরই তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন সুব্রত সরকারের দ্বিতীয় স্ত্রী। বাবা-মার কাছে চলে আসেন তিনি। কয়েকদিন আগে শান্তিপুর থানায় সুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তৃণমূলের এই ব্লক সভাপতির কঠোর শাস্তির দাবি জানালেন। কিন্তু, এতদিন পর কেন অভিযোগ দায়ের করলেন? প্রশ্ন শুনে সুব্রতর দ্বিতীয় স্ত্রী বলেন, সুব্রত ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। তাই ভয়ে এতদিন মুখ খুলতে পারেননি তিনি।

অভিযুক্ত সুব্রত সরকারের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মা-ও তৃণমূলের একজন নেত্রী। তিনি বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য। তাঁর মেয়ের উপরও নির্যাতন হয়েছে। তিনি কিছু করতে পারেননি। আপাতত আদালতে বধূ নির্যাতনের মামলা চলছে। তিনি বলেন, “আমার মেয়ের পরপর দুটি মেয়ে হওয়ার পরই অত্যাচার বাড়ে। দল থেকে কোনও সাহায্য পাইনি। ওর একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে।

তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বিজেপি নেতা চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, “এটা শুধু তৃণমূলের শান্তিপুরের ব্লক সভাপতির ঘটনা নয়, রাজ্যজুড়ে তৃণমূল নেতাদের একই পরিস্থিতি। তৃণমূলের এটাই সংস্কৃতি।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সিপিএম-ও। শান্তিপুরের সিপিএম নেতা সৌমেন মাহাতো বলেন, রাজ্যজুড়েই তৃণমূলের একই অবস্থা।

দলের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, “যদিও বিষয়টা পুরোপুরি তাদের ব্যক্তিগত জীবন, তাও সঠিকভাবে চলা উচিত। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরো বিষয়টা দেখেছি। তিনি যেহেতু ব্লক সভাপতি, তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে। সমস্ত তৃণমূল নেতাদেরই আমি অনুরোধ করব, তাঁরা যেন সঠিক পথে চলেন।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সুব্রত সরকারের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।